কমলো জ্বালানি তেলের দাম

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, ৩১ অগাস্ট ২০২৪ | আপডেট: ৯:০৫ পূর্বাহ্ন, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার। এরমধ্যে ডিজেলের দাম ১.২৫ টাকা কমিয়ে ১০৫.২৫ টাকা, পেট্রোলের দাম ৬ টাকা কমিয়ে ১২১ এবং অকটেনের দাম ৬ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  শনিবার (৩১ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এ খবর জানিয়েছেন। এদিন বেলা ১১টার দিকে খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত নির্মাণাধীন রুপসা ৮০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, আজ রাত ১২টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, ডিজেলের দাম ১০৬.৭৫ টাকা থেকে ১.২৫ টাকা কমিয়ে ১০৫.২৫ টাকা, অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কমলো ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম

 এর আগে, ২৮ আগস্ট পেট্রোবাংলায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ও অধিদফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ফাওজুল কবির খান জানিয়েছিলেন, ‘দেশের মানুষ যাতে কম দামে তেল কিনতে পারে, সেটি মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তেলের দাম নির্ধারণের কথা ভাবা হচ্ছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য তালিকা প্রকাশ করা হবে।’

তারও আগে নির্বাহী আদেশে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিধান বাতিল করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩’ সংশোধন করে অধ্যাদেশে নির্বাহী আদেশে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ৩৪ (ক) ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে। ফলে গণশুনানির মাধ্যমেই এসবের দাম নির্ধারণ হবে বলে জানানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ৫ যুগ পর রাজধানী থেকে সরছে গোল্ডলিফ-বেনসনের কারখানা

২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নয়, সরকারকে ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ ও সমন্বয়ের ক্ষমতা দিয়ে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

অধ্যাদেশে ‘ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয়ে সরকারের ক্ষমতা’ শিরোনামে ৩৪(ক) ধারা যুক্ত করা হয়। ওই ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারিবে।

পরে সংসদ বসলে অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হয়। মন্ত্রণালয় থেকে দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছিল গ্যাস, বিদ্যুৎ ও তেলের দাম। এটি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।