মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবন ধস, নিহত ৩ বাংলাদেশি

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ৭:৩২ পূর্বাহ্ন, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার পেনাং প্রদেশের জর্জ শহরে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২ জন। এ দুর্ঘটনায় এখনও ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা রয়েছে আরও ৪ জন। খবর বার্নামা ডট কমের। ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাটি জানায়, পেনাংয়ের উপপুলিশ প্রধান দাতুক মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মদ বাংলাদেশিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়েছেন। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন ও স্তূপের নিচে চারজন আটকে আছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। স্তূপের নিচে আটকা পড়াদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।’

আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে রায় আন্তর্জাতিক আদালতের, স্বাগত জানাল পাকিস্তান

গতকাল রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ দুর্ঘটনাটির খবর পায় বলেও জানান তিনি। তবে, নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রেট টাইমস জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, ওই নির্মাণাধীন ভবনে ১৮ শ্রমিক কাজ করছিল।  এর মধ্যে নামাজের জন্য ৯ জন ভবন থেকে বের হয়। আর বাকি ৯ জন ১২ মিটার দৈর্ঘ্যে ও ১৪ টন ওজনের একটি বিমের নীচে কাজ করছিল।  

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৬৯ জন নিহত, মোট প্রাণহানি ৬০ হাজার ছাড়াল

এদিকে, দুর্ঘটনার সময় ওই নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করছিলেন আরেক বাংলাদেশি শ্রমিক ৪৩ বছর বছর বয়সী মহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমিও একজন ভুক্তভোগী হতে পারতাম। কিন্তু আমার ভাগ্য ভালো আগেই ভবন থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম।’ নির্মাণাধীন ভবনের সবার ওপরের তলায় কাজ করা মহিদুল বিরতি নিতে ভবনটি থকে বের হয়েছিল।

মালয়েশিয়ায় থাকা এই বাংলাদেশি বলেন, ‘হঠাৎ করেই আমি বিকট শব্দ শুনতে পাই। এরপরেই সেখানে চিৎকার শুনতে পাই। পরে আমি বুঝতে পারি, আমাদের ভবনটিই ধসে পড়েছে।’

এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।