ওয়াশিংটনের বার্তা
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ বাস্তব এবং আসন্ন
টানা নয়দিন ধরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তেজনা তুঙ্গে। যুদ্ধ বন্ধে চীন ও রাশিয়ার পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক তৎপরতাও বেড়েছে। বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইরান সংকট নিরসনে বৈঠকে অংশ নিয়ে শনিবার (২১ জুন) রাতে লন্ডনে ফিরে গেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।
জেনেভায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছেন ল্যামি। এছাড়া তিনি ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ হুইটেকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান-আফগান এলাকায় সংঘর্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ জঙ্গি নিহত
ডেভিড ল্যামি ওইসব বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ইরানসহ অন্যান্য পক্ষের কাছে পৌঁছে দেন। সেখানে জানানো হয়, “মার্কিন সামরিক পদক্ষেপের হুমকি বাস্তব এবং আসন্ন”, তবে “কূটনৈতিক পথ এখনো খোলা রয়েছে”।
ইউরোপীয় নেতারা এই বার্তার মাধ্যমে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক কার্যক্রমের নিন্দা জানান এবং কিভাবে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো যায়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেন। তারা ইরানের সঙ্গে আবারও আলোচনা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন, যদিও কবে এবং কোথায় বৈঠক হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ট্রাম্পের নাচের ভিডিও ভাইরাল
জানা গেছে, জেনেভায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, “ইসরায়েল হামলা চালিয়ে গেলে তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসবে না।” তবে ইউরোপীয় মন্ত্রীরা বলেন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায় হলো আলোচনার টেবিলে ফিরে আসা।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তিনি এই সপ্তাহেই মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে আবারও আলোচনা করবেন।





