যুদ্ধবিরতি চললেও ক্ষুধায় তীব্র কষ্টে গাজাবাসী

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৩২ পূর্বাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো এখনো ভয়াবহভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাধা-নিষেধের কারণে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছাতে এখন একটি ‘সময়-সংকটপূর্ণ যুদ্ধ’ চালাতে হচ্ছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি

ডব্লিউএফপি’র সিনিয়র মুখপাত্র আবির এতেফা বলেন, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর কিছুটা সাহায্য প্রবেশ করলেও মাত্র দুইটি সীমান্ত খুলে দেওয়ায় ত্রাণ বিতরণ মারাত্মকভাবে সীমিত হয়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সময়ের সঙ্গে লড়ছি। শীতকাল সামনে। মানুষ এখনো ক্ষুধায় ভুগছে।

আরও পড়ুন: নতুন পারমাণবিক চালিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে রাশিয়া: পুতিন

ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, অস্ত্রবিরতির পর থেকে তারা ১০ লক্ষাধিক গাজাবাসীকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। তবে উত্তর গাজায় পৌঁছানো এখনো অত্যন্ত কঠিন, যেখানে গত আগস্টে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়।

এতেফা বলেন, উত্তরের প্রবেশপথ খুলে না দিলে বড় পরিসরে ত্রাণ বিতরণ অসম্ভব। সব সীমান্ত খুলে দিতে হবে এবং গাজার ভেতরের প্রধান সড়কগুলোতে চলাচলের অনুমতি দিতে হবে।

এদিকে, ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকাগুলোতে ঘরে ফেরা হাজারো মানুষ এখন তাবু, খোলা আকাশ অথবা কাদামাটির জোড়াতালি দেওয়া ঝুপড়িতে শীতের অপেক্ষায়।

গাজা সিটির বাসিন্দা খালিদ আল-দাহদুহ বলেন, আমাদের থাকার কিছুই নেই। তাই ধ্বংসস্তূপের ইট দিয়ে কাদামাটি দিয়ে ছোট ঘর বানিয়েছি। অন্তত ঠান্ডা ও বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে।

এরই মধ্যে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অস্ত্রবিরতির পর ইসরায়েলি হামলায় ২৪০ জন নিহত এবং ৬০৭ জন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েল দাবি করছে, হামাস নিহত ইসরায়েলি বন্দীদের মরদেহ সম্পূর্ণ ফেরত না দেওয়ায় তারা সামরিক প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।