সপ্তাহে কতবার ফ্রিজ বন্ধ করা উচিত, জানেন কী?

ফ্রিজহীন বাড়ি আজকাল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গরমকাল আসতে না আসতেই রেফ্রিজারেটরের গুরুত্ব বেড়ে যায় প্রত্যেক বাড়িতেই। কিন্তু আপনি কি জানেন যে সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে রেফ্রিজারেটর দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে?
অনেকেই এই গ্যাজেটটি ব্যবহার সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে বাস করেন আর তাতেই হয়ে যায় বিপত্তি। এই ভাবে আপনার ফ্রিজটি বিকল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। দু-একটি ছোট্ট ভুলেই খারাপ হয়ে যেতে পারে ফ্রিজের ভিতরের যন্ত্রপাতি।
আরও পড়ুন: রঙ ফর্সাকারী ক্রিমে যে ভয়ংকর ক্ষতি হচ্ছে আপনার
কেউ কেউ অবশ্য বিভিন্ন পরামর্শ মেনে সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টার জন্য রেফ্রিজারেটরটি বন্ধ করে রাখেন এই ভেবে যে এতে এর আয়ু বাড়বে অথবা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। কিন্তু এটি করা মোটেই জরুরি নয়, বরং এটি আপনার রেফ্রিজারেটরের সিস্টেমকে নষ্ট করতে পারে।
আসলে আজকালকার রেফ্রিজারেটরগুলিতে একটি অটো কাট-অফ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার সাহায্যে রেফ্রিজারেটরটি প্রয়োজন অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়ার চালু এবং বন্ধ করতে পারে।
আরও পড়ুন: যে কারণে বৃষ্টির দিনেই খিচুড়ি খেতে ইচ্ছে হয়
এই সিস্টেমটি দিনে কয়েকবার সক্রিয় হয়, যার ফলে রেফ্রিজারেটরে কোনও লোড থাকে না এবং এটি দীর্ঘ সময় ধরে আরও ভাল ভাবে কাজ করে। অতএব, এটিকে ম্যানুয়ালি বন্ধ করার আর কোনও প্রয়োজনই নেই।
রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করার সময় অথবা কোনওরকম মেরামতির কাজ চলাকালীনই শুধুমাত্র ফ্রিজটি বন্ধ করা প্রয়োজন। বাকি সময়, এটি চালু রাখাই উচিত বলে পরামর্শ দেন ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট বিশেষজ্ঞরা। যাতে এর শীতলকরণ ক্ষমতা অক্ষত থাকে এবং কোনও কারিগরি ত্রুটি না দেখা দেয়।
অনেকেরই ধারণা যে কয়েক ঘণ্টার জন্য রেফ্রিজারেটর বন্ধ করলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ রেফ্রিজারেটর নিজেই তাপমাত্রা বুঝে কাজ করে এবং প্রয়োজনে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়।
এর অর্থ- খুব বেশি সময় ধরে এটি বন্ধ করলে মোটেই বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় না, বরং রেফ্রিজারেটরের কর্মক্ষমতা এতে প্রভাবিত হয়।
যদি আপনি চান যে আপনার রেফ্রিজারেটর বছরের পর বছর ধরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাক, তাহলে এটি চালু রাখুন এবং এর ফ্রিজের নিজস্ব স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির উপর আস্থা রাখুন।
শুধু সময়ে সময়ে এটি পরিষ্কার এবং সার্ভিসিং করান, এবং কোনওরকম বিভ্রান্তিতে পরে এটি বন্ধ করবেন না।