অর্থনৈতিক কূটনীতি আর জোরদারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

Shakil
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৩৮ অপরাহ্ন, ০৭ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, ০৭ মার্চ ২০২৩
ছবি : পিআইডি
ছবি : পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্য ও রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশের স্নাতক বজায় রাখতে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি সোমবার সন্ধ্যায় কাতারে তাঁর বাসভবনে আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে বলেন, ‘দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি আপনাদেরকে (কূটনীতিকদের)  অর্থনৈতিক কূটনীতিকে শক্তিশালী করতে সক্রিয় হতে হবে।’ সম্মেলনে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কূটনীতিকরা যোগ দেন।

আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাধা দেওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, আরও আসবে: প্রধান উপদেষ্টা

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্নাতক অর্জন করতে যাচ্ছে। এজন্য সে সব দেশের প্রতি মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন, যেখানে বাংলাদেশ  ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে লাভবান হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আপনাকে চোখ খোলা রেখে সব দেশের সাথে আলোচনা ও সমঝোতা করতে হবে। তাহলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা টিকে থাকতে পারবো, আরও এগিয়ে যেতে এবং অবশেষে উন্নত দেশ হিসেবে স্নাতক হতে পারবো।’

আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে যা যা দরকার সব পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: প্রেস সচিব

শেখ হাসিনা বলেন, একসময় কূটনীতি একটি রাজনৈতিক বিষয় ছিল। কিন্তু এখন এটি অর্থনৈতিক বিষয়, মানে অর্থনৈতিক কূটনীতি।

সরকার প্রধান বলেন, ‘তাই যারা বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন তাদেরকে সেই দেশগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে যেখানে আমরা বাণিজ্য ও ব্যবসা করতে পারি। একই সাথে যেসব দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে এবং যে দেশগুলো থেকে আমরা কম এবং ন্যায্য দামে পণ্য আমদানি করতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যবসা ও বাণিজ্য আরও বাড়াতে এটি অত্যন্ত   প্রয়োজনীয়।

তিনি বলেন ‘যেসব দেশে আমাদের পণ্যের চাহিদা আছে এবং যেখানে বিপণনের সুযোগ আছে সে সমস্ত দেশকে চিহ্নিত করুন’।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বাংলাদেশের নীতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’।

তিনি বলেন, ‘অন্তত আমি দাবি করতে পারি যে, বাংলাদেশ সঠিকভাবে এই নীতি অনুসরণ করছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে। কিন্তু যখন কোনো অন্যায় দেখা যাবে, তখন বাংলাদেশ অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার কথা বলবে, যা মিয়ানমারকে বলা হচ্ছে ।

তিনি আরো বলেন, ‘যখন মিয়ানমারে ঘটনাটি ঘটেছিল, তখন আমরা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে সংঘাতে জড়াইনি। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’

সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের পঞ্চম স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী এখন কাতার সফরে রয়েছেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে তিনি গত শনিবার কাতারে পৌঁছেন।

বুধবার ঢাকার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।