নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রতিক্রিয়া

বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২:৫০ অপরাহ্ন, ০৮ জানুয়ারী ২০২৪ | আপডেট: ৪:৪১ পূর্বাহ্ন, ০৯ জানুয়ারী ২০২৪
মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে কথা বলেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা।
মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে কথা বলেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও জাপান থেকে আসা পর্যবেক্ষকরা।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান বিদেশি পর্যবেক্ষকরা।

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী প্রধানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর

এ সময় তারা বলেন, 'আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সাতটি দেশের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক, প্রাক্তন কংগ্রেসম্যান এবং সাংবাদিকদের একটি দল নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এসেছি। আমরা বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। গতকাল আমরা ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় মোট ২০টি ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি।'

বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আরো বলেন, 'আমরা যে সব কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি সেখানে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে আমরা দেখতে পেয়েছি, ভোট দেওয়ার পথে তাদের কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দল দ্বারা ভোটারদের কোনো ভয়ভীতি দেখা যায়নি। এটা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য ভালো ইঙ্গিত দেয়।'

আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্তে সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের ব্যাংক হিসাব তলব

অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের চিফ অফ স্টাফ এবং আমেরিকান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিসের প্রধান নির্বাহী আলেকজান্ডার বার্টন গ্রে বলেন, 'নাগরিক হিসেবে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি দেশের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে এটাই প্রত্যাশিত।

ভোটাধিকার প্রয়োগ করা একটি নাগরিক অধিকার। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। একজন নাগরিকের নিরাপদ ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তা দেওয়া সরকারের বিবেচনার উপর নির্ভর করে।'

তিনি আরো বলেন, 'আমরা দেখেছি বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকারের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক যা বিশ্বের অন্য দেশে খুব কমই পাওয়া যায়। বিশ্বের অনেক দেশ আছে যারা ভোট না দেওয়ার জন্য জরিমানা আরোপ করে এবং অনেক দেশ ভোটকে উৎসাহিত করার জন্য অতিরিক্ত নাগরিকত্ব সুবিধা দেয়।

কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার আগ্রহ ও উৎসাহ রয়েছে যা আমরা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক বলে মনে করি। কিছু রাজনৈতিক দল থেকে বিরত থাকা প্রচারণা এবং একটি বড় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ না করা নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হয়। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলে পরিবেশ আরও সুন্দর ও আনন্দময় হতো।'

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এখানে উপস্থিত সব পর্যবেক্ষক একমত যে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে পর্যবেক্ষকদল।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন মার্কিন কংগ্রেসম্যান এবং সান দিয়াগো সিটির কাউন্সিলম্যান মিঃ জিম বেটস, নিউ সাউথ ওয়েলস লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সাবেকসংসদ সদস্য শাওকেট মুসেলমানে, ওএসছিই এর সার্টিফাইড নির্বাচন পর্যবেক্ষক টেরি এল. ইজলি ও ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর  ক্রিস্টোফার জনসহ প্রমুখ।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, নরওয়ে জাপানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।