রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে নগরবাসী

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৫ অপরাহ্ন, ২৭ মে ২০২৪ | আপডেট: ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, ২৭ মে ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি পড়ছে। এদিকে রাজধানীতে রাত থেকেই ছিল থেমে থেমে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া। এতে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার প্রধান প্রধান সড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। চরম ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো মানুষ।

সোমবার (২৭) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আরও পড়ুন: তিন দিনের সফর শেষে কুয়ালালামপুর থেকে দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনূস

যানজটে আটকে পড়া লোকজন সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টির কারণে যানবাহনগুলো ট্রাফিক আইন না মেনে যে যার মতো চলছে। এতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সড়কে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। যে কারণে গাড়ি চলাচলের গতিও ধীর হয়ে গেছে।

এদিকে আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আরও পড়ুন: নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে।