৫৪তম দেশ হিসেবে নাসার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি সই

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ৬:১৬ অপরাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মহাকাশ গবেষণায় সহযোগিতার একটি নতুন দুয়ার খুললো। বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক অদূর ভবিষ্যতে মহাকাশে নভোচারী হতে পারবে। ৫৪তম দেশ হিসেবে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষা সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে সই করেন।

মহাকাশ কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’ চুক্তিতে সই হয়েছে। ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’ হলো শান্তিপূর্ণ ও অসামরিক মহাকাশ অনুসন্ধানকে উৎসাহিত করার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণা, মহাকাশ ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং মহাকাশ সম্পদের দায়িত্বশীল ব্যবহারে নিজেদের সম্পৃক্ত করল; যা দেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আমলে ব্যাংক খাতে ব্যাপক লুটপাট ও অর্থপাচার: অর্থ উপদেষ্টা

বিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক বলেন, ‘এই চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তার মহাকাশ গবেষণা কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে পারবে।’

বাংলাদেশের শিশুরা এতদিন শুধু স্বপ্ন দেখতো এস্ট্রোনাট বা নভোচারী হওয়ার। এখন থেকে শিশুদের সে স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে জানিয়ে চৌধুরী আশিক বলেন, প্রাথমিকের কোনো শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করলে বলে তারা এস্ট্রোনাট হতে চায়। নাসার সঙ্গে এ চুক্তির ফলাফল কি তা এখনই বলা যাবে না। আগামী ২০২৫ বছর পর এর ফলাফল পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের স্পেস এজেন্সি নাসার সঙ্গে কাজ করবে। এটি সম্পূর্ণ নতুন।’

আরও পড়ুন: সরকারকে এক মাস সময় দিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

প্রতিরক্ষা সচিব আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস মূলত আউটার স্পেস ট্রিটি রেজিস্ট্রেশন কনভেনশন এবং অ্যাস্ট্রোনট রেসকিউ অ্যাগ্রিমেন্টের নীতিগুলো অনুসরণ করে তৈরি একটি নির্দেশিকা; যা মহাকাশের শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও টেকসই ব্যবহারে সহায়ক।১৯৮০ সালে বাংলাদেশ স্পারসো গঠন করে মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে উৎসাহিত করতে কাজ শুরু করে এবং তখন থেকেই আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে চলেছে। আর্টেমিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো মহাকাশে স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেয়।’

২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত আর্টেমিস চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া ও বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ, লাতিন আমেরিকানসহ ৫৩টি দেশ স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ এই চুক্তিতে যুক্ত হয়ে একটি সম্মানজনক আন্তর্জাতিক মহাকাশ জোটের অংশ হলো।