আ.লীগ কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ
আদালতে মেজর সাদিকের স্ত্রীর দাবি, ‘আগে থেকেই সব আয়োজন করা ছিল’

নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন আদালতে দাবি করেছেন যে, সেখানে আগে থেকেই সব আয়োজন করা ছিল এবং তিনি কেবল আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে কিছু সময়ের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। তবে আদালত তার আবেদন নাকচ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রিমান্ড শুনানি চলাকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের সামনে জাফরিন বলেন, "আগে থেকেই ওটা অ্যারেঞ্জ করা ছিল। সেখানে ইনভাইটেশন পেয়ে আমি ও আমার হাজবেন্ড কিছু সময়ের জন্য গিয়েছিলাম।"
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নিবার্চন: সিইসি
তিনি আরও বলেন, "জায়গাটা অন্য কেউ ভাড়া করেছিল। কিন্তু দোষটা আমার ওপর চাপানো হচ্ছে। দয়া করে আমাকে রিমান্ডের মতো ডিসিশন দেবেন না। কিছু জানার থাকলে এমনিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। আমি উত্তর দেব। আমি নিজে এটা করিনি। তাই অনুরোধ, আমাকে রিমান্ড দেবেন না।"
শুনানি শেষে আদালত ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জাফরিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: ৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন হজযাত্রীরা
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীনসহ অন্যরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন জানান।
বুধবার (৬ আগস্ট) মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয়। ডিবি জানায়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশে একটি কনভেনশন হলে 'গেরিলা প্রশিক্ষণের' ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার সময় মেজর সাদিকের সঙ্গে তার স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনও উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় মেজর সাদিককে হেফাজতে নেয় সেনাবাহিনী এবং পরে তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ।
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।