অন্তর্বর্তী সরকারকেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে: ড. হেলাল উদ্দিন

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ন, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৪:১৮ অপরাহ্ন, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচিত সরকারের ওপর ভরসা করা কঠিন। তাদের অতীত রেকর্ড ভালো নয়। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরই নিতে হবে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক মঞ্চ আয়োজিত “জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও জুলাই বিপ্লবে খুনীদের বিচার দ্রুত বাস্তবায়ন” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক আহসান উল্লা শামীম। স্বাগত বক্তব্য দেন মাওলানা আলতাফ হোসাইন মোল্লা। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক মঞ্চের উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) ফরিদুল আকবরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন: ৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কর কর্মকর্তা মিতু বরখাস্ত

ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ইসলাম ছাড়া ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। দুর্নীতি আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ইসলামি আদর্শের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ৭১ মঞ্চের ব্যানারে চক্রান্ত করলেও সফল হতে পারেনি। বরং জুলাই যোদ্ধা ও সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার পেছনে প্রশাসনের ভেতরে থাকা আওয়ামী লীগের অনুসারীরাই জড়িত। তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন: গুজবে কান দেবেন না, পুরো সেনাবাহিনী সরকারকে সফল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষিত ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়েও তিনি বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “সে সময়েই নির্বাচন হতে পারে, এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে অবশ্যই তার আগে জনগণের দাবি অনুযায়ী জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও বাস্তবায়ন এবং জুলাই বিপ্লবে গণহত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে।”

তিনি আরও যোগ করেন, জুলাই সনদ কেবল কাগজ নয়; এটিকে আইনি ভিত্তি দিয়ে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পর রাষ্ট্র কাঠামোর জাতীয় রূপরেখার মতো এটি কেবল একটি টুকরো কাগজ হয়েই পড়ে থাকবে।

জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, “ছাত্র-জনতা রাজপথ ছাড়েনি। জীবনের মায়া বিসর্জন দিয়ে দেশপ্রেমের শক্তিতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছে।”

তিনি দাবি করেন, টানা ৩৬ দিনের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। তবে সরকারের ভেতরে স্তরে স্তরে ফ্যাসিবাদের দোসর থাকায় বিপ্লবী সরকারের স্বীকৃতি পেতেও দীর্ঘ এক বছর সময় লেগেছে।

শেষে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকারের উচিত জনগণের দাবি অনুযায়ী জুলাই ঘোষণাপত্রকে আইনি ভিত্তি প্রদান করা এবং তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। জুলাই চেতনা ধারণ করেই দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হবে।