ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা: প্রস্তুত ২ হাজারের বেশি পুলিশ, সোয়াট টিম ও ডগ স্কোয়াড

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ন, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী জানিয়েছেন, আগামীকাল (৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোট ২ হাজার ৯৬ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিশেষায়িত টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সাদা পোশাকের ডিবি পুলিশ, মোবাইল পেট্রোল ও সিসিটিভি মনিটরিং টিম নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

আরও পড়ুন: জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতির সিদ্ধান্ত নেবে সরকার

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ডিএমপির অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

কমিশনার সাজ্জাদ আলী বলেন, “ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। গত এক সপ্তাহ ধরে নানাবিধ পুলিশি কার্যক্রম চালানো হয়েছে। আশা করছি বড় কোনো ঘটনা ঘটবে না। ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু থাকবে, প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে।”

আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ১২শ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি

তিনি জানান, বর্তমানে ডিএমপির ১ হাজার ৭৭১ জন সদস্য মোতায়েন আছেন, যা আগামীকাল বাড়িয়ে ২ হাজার ৯৬ জন করা হবে। এছাড়া র‍্যাব ও বিজিবিও সাদা পোশাকে দায়িত্বে থাকবে। ক্যাম্পাসে ৮টি চেকপোস্ট চালু রাখা হয়েছে এবং কেন্দ্রভিত্তিক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এসময় কমিশনার আরও জানান, ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা থেকে ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো লাইসেন্সধারী ব্যক্তিও অস্ত্র বহন করতে পারবেন না।

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ভোটার বা অন্য কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেন। কোনো সমস্যা হলে বা অবাঞ্ছিত কেউ প্রবেশ করলে পুলিশকে অবহিত করা হবে। আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।”

জাল আইডি কার্ড তৈরির বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে তথ্য পেয়েছি, ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে।”

এছাড়া সাইবার বুলিং প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আমরা অত্যাধুনিক যুগে বসবাস করছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সেখানে বিকৃত তথ্য প্রচার হচ্ছে, সেগুলো নিয়েও কাজ চলছে।”