সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক

বিএনপি নির্বাচন পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে লুৎফুজ্জামান বাবর

Sanchoy Biswas
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:২৪ অপরাহ্ন, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:০২ অপরাহ্ন, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ কারাভোগের পর মুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বিএনপি নির্বাচন পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাচ্ছেন। দলের হাই কমান্ড থেকে গত সপ্তাহের কাছে এই দায়িত্ব পালনের কথা মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার পর রাজনীতিতে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠছেন সাবেক এই আলোচিত প্রতিমন্ত্রী। জানা যায় দলের পক্ষ থেকে তাকে মৌখিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের বিষয়টি জানানোর পরে তিনি তার বাসায় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে হোমওয়ার্ক করেন। সাবেক দুজন আইজিপি, কয়েকজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, তার সাবেক একান্ত সচিব কামরুজ্জামান, কর্মরত কয়েকজন ডিআইজি, দক্ষিণাঞ্চলের একজন তরুণ বিএনপি নেতা ও মিডিয়ায় কর্মরত একজন সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি ও আসন্ন নির্বাচন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির প্রধান করা হয়েছে লুৎফুজ্জামান বাবরকে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘ পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও তার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তিন বছর বিডিআরের মহাপরিচালক ছিলেন তারই অধীনে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরী তার অধীনেই পাঁচ বছরে পুলিশ সুপার থেকে আইজিপি হয়েছিলেন। একই সাথে বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলম নেত্রকোনার পুলিশ সুপার ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। ঢাকার কমিশনার শেখ সাজ্জাদ আলীসহ অধিকাংশ তার অধীনে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল

সূত্র জানায় সাড়ে ১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাবর রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাইলেও প্রথমে দল থেকে তাকে নিষ্ক্রিয় রাখা হয়। বেশ কিছুদিন তার চিকিৎসা, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও ব্যবসায়িক সময় কাটানো হয়। এরই মধ্যে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সরকারের আপিল শুনানি মিস করতে হয়। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সকলকেই ডেথ রো-তে রাখে। এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে লুৎফুজ্জামান বাবরকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির টিমের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির প্রধান করা হয়।

সমসাময়িক কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে বিএনপির আলোচনার জন্য। সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি, উত্তেজনা, ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, সর্বোপরি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দ্রুত দেশে ফেরা এবং তার নিরাপত্তার সরকারি দায়িত্ব পালনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

দীর্ঘ ১৮ বছর পর রোববার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এরপর তারা উভয়ই সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বৈঠক নিয়ে কথা বলেন।

লুৎফুজ্জামান বাবর বলেন, আমি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। সাড়ে ১৭ বছর পর নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে জেল থেকে মুক্ত হয়েছি। আমাদের জাতীয়তাবাদী দল থেকে একটি টিম করা হয়েছে। সেই টিমের মধ্যে আমিও একজন। আমার সঙ্গে সিনিয়র সেক্রেটারি কামরুজ্জামান সাহেব রয়েছেন। মাহবুব সাহেব আছেন। আরও একজনের থাকার কথা ছিল, কিন্তু তিনি আসতে পারেননি।

তিনি বলেন, আমাদের আসার উদ্দেশ্য কিছু কিছু জিনিস উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে বিষয়গুলো আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের আসার উদ্দেশ্য বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সরকারকে সহযোগিতা করা। সেই সহায়তার অংশ হিসেবে আমরা আমাদের কনসার্ন জানিয়েছি। তারাও একমত হয়েছেন। আলোচনা মোটামুটি ফলপ্রসূ হয়েছে। দ্যাটস ইট।

আপনি উদ্বেগের কথা বলেছেন, সেটি কী—এমন প্রশ্নে লুৎফুজ্জামান বাবর বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে পতিত সরকার একটি বিশেষ শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেটা আপনার পত্রিকায় দেখেছেন, এস আলম গ্রুপের সঙ্গে। তাদের সেই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের নির্বাচন বানচাল করা, নির্বাচনে বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটানো। এটি একটি উদ্বেগের জায়গা। সে ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি।

‘আরও অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছি। যেমন—বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র ও লুট হওয়া অস্ত্র এখনো যে উদ্ধার হয়নি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে’—বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব শীঘ্রই দেশে ফিরছেন। দেশের মানুষ তার আগমনে আগ্রহে আছে।

আপনাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে সরকারকে কোনো সুপারিশ করেছেন কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা ব্যাপারে আমরা কনসার্ন জানিয়েছি। অতি সম্প্রতি এএসআই নিয়োগ হচ্ছে। সাধারণত নিয়োগ হয় কনস্টেবল, এসআই ও এএসপি পদে। কিন্তু এবার এএসআই নিয়োগ হচ্ছে। যারা কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করে তাদের একটা আশা থাকে ভবিষ্যতে এএসআই হবে। তারা ইন্সপেক্টর পর্যন্ত হতে পারে। আবার এসআই হিসেবে যারা যোগদান করে তারা ডিআইজি পর্যন্ত হতে পারে। এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন মনে করছেন—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এটুকু বলবো, তারা ভালো করার যথেষ্ট চেষ্টা করছেন।’

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি স্যারের (লুৎফুজ্জামান বাবর) সঙ্গে তিন বছর কাজ করেছি। স্যারের আন্ডারে আমি চাকরি করেছি। সুতরাং উনার সঙ্গে আমার অনেক আগের পরিচয়। আজকে একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। আমরা অনেক ধরনের কথাবার্তা বলেছি, পারিবারিক ও নানা বিষয়ে কথা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় কোনো ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে কিনা—জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কথা বলার মধ্যে আলোচনার প্রেক্ষাপটে হয়তো দু-একটি রাষ্ট্রীয় বিষয় চলে এসেছে। কিন্তু সেটা খুব একটা বড় আলোচনা নয়।

এদিন বিকেল সাড়ে ৪টার কিছু পরে লুৎফুজ্জামান বাবর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কক্ষে প্রতিনিধিদল নিয়ে প্রবেশ করেন। দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি বের হন।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ও সাবেক সিনিয়র সচিব কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

১৭ বছর কারাভোগের পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তিকে ঘিরে কারাফটকে জড়ো হয়েছিল লাখো মানুষ, তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। বিপুল জনসমাগমই প্রমাণ করে, তিনি এখনো কতটা জনপ্রিয়।

তবে সবচেয়ে আলোচনার বিষয়—এত জনপ্রিয় হলেও বিএনপিতে তার কোনো পদ নেই। মুক্তির পর তিনি কয়েক দফায় বিএনপির অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করলেও কারো সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। এমনকি বাসায় অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতের চেষ্টা করেও অনুমতি পাননি। কারামুক্তির পর দীর্ঘদিন বাসায় ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজে সময় কাটান। সুযোগ পেলে যান নিজের নির্বাচনী এলাকা নেত্রকোনায়। বিএনপির সব অনুষ্ঠানে একজন সাধারণ কর্মীর মতো যোগদান করেন। বক্তৃতা তো দূরের কথা মঞ্চেও জায়গা হয়নি।

লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে আরও দুইবার এমপি হন তিনি। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে বাবর পান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব, সে সময় তিনি বেশ প্রভাবশালী ছিলেন।

তবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় ধাক্কা আসে ওয়ান ইলেভেনের সময়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২০০৭ সালের ২৮ মে গ্রেপ্তার হন তিনি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলায় দীর্ঘ কারাবাসে থাকতে হয় সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে।

কারাবাসে থাকতেই এসে পড়ে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দলনিষ্ঠ লুৎফুজ্জামান বাবর তখন বন্দী থাকায় বিএনপি তার আসনে অন্য একজনকে মনোনয়ন দেয়। তবে তিনি কারাগার থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।

এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর—ভোটগ্রহণের মাত্র তিন দিন আগে—শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি বাবরকে বহিষ্কার করে। সে সময় তিনি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক। তবে এই বহিষ্কারাদেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ভোটের কয়েকদিন পরই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক চিঠির মাধ্যমে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাবর ভবিষ্যতে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে অবদান রাখবেন বলে বিএনপি আশাবাদী।

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হলেও বাবরকে গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির কোনো দলীয় পদ দেওয়া হয়নি। অথচ কারাগারে থাকা অবস্থায়ই দলের আরেক নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছিল।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। বিরোধী মত দমন, গুম, খুন, বিচারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। চার মেয়াদের শাসনামলে বিএনপি চেয়ারপারসন থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও সরকারের নির্যাতনের শিকার হন। কারাবরণ থেকে শুরু করে হত্যার শিকার হন বহু নেতাকর্মী।

তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে যায় ভারতে।

শেখ হাসিনার শাসনামলেই লুৎফুজ্জামান বাবরকে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর মামলাগুলোর আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান লুৎফুজ্জামান বাবর। সবশেষ আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার দুটি পৃথক রায়ে খালাস পাওয়ার পর তার কারামুক্তির পথ খুলে যায়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সর্বশেষ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানিতে খালাস পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে সব কটি মামলার নিষ্পত্তি হয়।