চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ মাসে ৩৫৫২টি জাহাজ হ্যান্ডলিং

Sanchoy Biswas
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৭:৩৬ অপরাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের মোট সাধারণ পণ্য আমদানি-রপ্তানীর প্রায় ৯২% এবং কন্টেইনার পরিবাহী পণ্যের আমদানি-রপ্তানীর প্রায় ৯৮% হ্যান্ডলিং হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২৫ পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম ১০ মাসে (জানুয়ারি–অক্টোবর) ২৮,৪৯,৫৪২ টিইইউএস কন্টেইনার, ১১,৫০,৬৭,২০০ মেট্রিক টন কার্গো এবং ৩৫৫২টি জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৪.৮৭%, কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে ১২.৬৪% এবং জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে ১০.৯৭% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। উক্ত সময়ে বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১,৩২,৩২৮ টিইইউএস কন্টেইনার, ১,২৯,০৮,১৭৪ মেট্রিক টন কার্গো এবং ৩৫১টি জাহাজ বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে।

আরও পড়ুন: কৃষক দল নেতা খন্দকার নাসিরের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারেক রহমানের কাছে মহিলা দলনেত্রীর আবেদন

একইভাবে ২০২৫–২০২৬ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে (জুলাই–অক্টোবর) ১২,১৩,৮০৫ টিইইউএস কন্টেইনার, ৪,৫২,৮২,৯০৭ মেট্রিক টন কার্গো এবং ১৪২২টি জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ১০.১৫%, কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে ১৫.৭৬% এবং জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে ১১.০০% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। উক্ত সময়ে বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১,১১,৮৮৮ টিইইউএস কন্টেইনার, ৬১,৬৬,৪০৫ মেট্রিক টন কার্গো এবং ১৪১টি জাহাজ বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে।

অপরদিকে চিটাগাং ড্রাইডক লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)-তে ২০২৫–২০২৬ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে (জুলাই–অক্টোবর) ৪,৬৮,৮৭১ টিইইউএস কন্টেইনার এবং ২৫৩টি জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ১৫.৫০% এবং জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে ১৯.৩৫% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। উক্ত সময়ে বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬২,৯১৯ টিইইউএস কন্টেইনার এবং ৪১টি জাহাজ বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে।

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের ওয়েটিং টাইম পূর্বের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ৯ দিন, অক্টোবর মাসে ১৮ দিন এবং নভেম্বর মাসে ১৯ দিন জাহাজের ওয়েটিং টাইম শূন্য ছিল। বর্তমানে বন্দরে আগত জাহাজ দ্রুত বার্থ পাচ্ছে। এতে আমদানি-রপ্তানিকারকগণ দ্রুত সময়ের মধ্যে আমদানীকৃত মালামাল ডেলিভারি নিতে পারছে এবং রপ্তানীতব্য মালামাল যথাসময়ে জাহাজীকরণ করতে পারছে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে এবং সামগ্রিক রপ্তানীতে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

ইয়ার্ড ক্যাপাসিটির সম্প্রসারণ, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরলস পরিশ্রম এবং বিভিন্ন পর্যায়ের বন্দর ব্যবহারকারীদের অব্যাহত সহযোগিতার কারণে বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মায়ের্স্ক শিপিং লাইনের একটি প্রতিনিধি দল সিঙ্গাপুর থেকে স্বশরীরে চট্টগ্রামে আগমন করেন। বন্দর ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা বিশেষ করে জাহাজের অপেক্ষার সময় কমানো এবং এনসিটিসহ বিভিন্ন টার্মিনালের অপারেশনাল পারফরম্যান্স ও সেবার মানের ধারাবাহিক উন্নতি দেখে তারা সন্তোষ প্রকাশ ও ধন্যবাদ জানান।

বন্দর ব্যবস্থাপনার এই সাফল্য দেশবাসীর কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করবে এবং ভবিষ্যতে বন্দর ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।