বিকাল ৪টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না করলে ‘মার্চ টু সচিবালয়’

তিন দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা জানিয়েছেন, শিক্ষা উপদেষ্টার আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর অনুরোধে তারা বিকেল ৪টা পর্যন্ত লংমার্চ কর্মসূচি পিছিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে দাবি না মানলে তারা সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষকনেতারা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল, আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম শুরু
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে শিক্ষা উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি আমরা। আমাদের একটাই দাবি—প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। কোনো আলোচনার আর সুযোগ নেই।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকনেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং লংমার্চ কর্মসূচি পেছানোর অনুরোধ জানান। এ সময় দেলাওয়ার হোসেনের মোবাইলে কল আসে। পরে তিনি জানান, এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ তাকে ফোনে অনুরোধ করেছেন লংমার্চ স্থগিত রাখতে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ হাইকোর্টের সামনে পুলিশি ব্যারিকেড
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, প্রশাসন জানিয়েছে, তারা দাবি মেনে নেবে, তবে প্রজ্ঞাপন জারি হতে কিছুটা সময় লাগবে। হাসনাত আবদুল্লাহও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু আমরা জানিয়েছি—প্রজ্ঞাপন ছাড়া লংমার্চ প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এর মধ্যে দাবি না মানলে আমরা সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করব।
আজ সকালে শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান করছেন। তারা তাদের তিন দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন—
১️. মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) হারে বাড়িভাতা বৃদ্ধি,
২️. শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা,
৩️. কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা।