মব ভায়োলেন্স পরিহার করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ‘মব ভায়োলেন্স’ বা জনতার সহিংসতার রাজনীতি থেকে সরে আসতে হবে। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের প্রধানতম কথা হচ্ছে—অন্যের মতামতকে সহ্য করা। মতের বিরোধিতায় সহিংসতা কোনোভাবেই গণতন্ত্র হতে পারে না।”
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ‘চিব্বশের গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি’ শীর্ষক সংকলিত গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আগে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: লাভেলো আইসক্রিমের এমডি-চেয়ারম্যানসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি আপনার সঙ্গে একমত না হতে পারি, কিন্তু আপনার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমি আমার জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করব—এটাই গণতন্ত্র।” তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশে এখন কেউ অন্যের মত সহ্য করতে চায় না, বরং তাকে ‘উড়িয়ে দিতে’ চায়। এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে না এলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, টেকসই রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে হলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। “কোন দল জিতল বা হারল সেটা বড় বিষয় নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো—জুডিশিয়ারি স্বাধীন কি না, মিডিয়া স্বাধীন কি না, সংসদ কার্যকর কি না, দেশে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত কি না এবং মানুষের মানবাধিকার রক্ষা পাচ্ছে কি না।”
আরও পড়ুন: যারা ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয় : সালাম আজাদ
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বলেন, “বিএনপির ওপর দায়িত্ব আরও বেশি। গণতন্ত্রের জন্য অতীতে যে শক্তি লড়াই করেছে, ভবিষ্যতেও সেই গণতান্ত্রিক মোর্চা গড়ে তুলতে হবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ ছয় বছর কারাবরণসহ নানা নির্যাতন সয়েছেন। ৫ আগস্ট দেওয়া তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ‘প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এক হওয়ার’ আহ্বান তুলে ধরার কথাও স্মরণ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানও নিপীড়নের শিকার হয়েও বিদেশ থেকে দলকে সংগঠিত করছেন এবং গণতন্ত্রের প্রশ্নে স্পষ্ট অবস্থান বজায় রেখেছেন।





