বিশ্ব ইজতেমা শুরু ১৩ জানুয়ারি

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৮:২৭ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ৭:১১ পূর্বাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২২
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

বিশ্ব ইজতেমা কোভিড-১৯ করোনাভাইয়াস মহামারির জন্য দুই বছর বন্ধ ছিল। করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় আগামী জানুয়ারিতে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইজতেমা করতে হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: নুসুক অ্যাপ এখন থেকে ইন্টারনেট ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে

মন্ত্রী বলেন, মহামারির জন্য গত দুই বছর ঐতিহাসিক বিশ্ব ইজতেমা হয়নি। এবার কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ২০২৩ সালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে রাজধানীর টঙ্গীর মাঠে বিশ্ব ইজতেমা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেজন্য আজ সভাটি করেছি। আপনারা জানেন ইজতেমা করতে গিয়ে মতবিরোধ চলছিল এবং এখনো আছে। মতবিরোধ নিরসরে এর আগে আমরা দুই ভাগে ইজতেমা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম, সেভাবে তারা সুম্পন্ন করেছে। এবারও ঠিক সেভাবেই...এক দলের নেতা হলেন জুবাযের (মাওলানা জুবায়ের আহমদ), অন্য দলের নেতা হচ্ছেন ওয়াসিফুল সাহেব (মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম)। তারা দুজনই আগে একসঙ্গে তাবলিগ করতেন, এখন ওনারা দুজন দুই প্রান্তে চলে গেছেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তাদের সবাইকে আমরা দাওয়াত দিয়ে এনেছিলাম। ইজতেমা যাতে সুসম্পন্ন ও সুন্দরভাবে হয় সেই অনুরোধ করেছিলাম। পাশাপাশি আরও অনুরোধ রেখেছিলাম আপনারা দুজন এক হয়ে সিদ্ধান্ত দেন- কে আগে করবেন, কে পরে করবেন। কিংবা একসঙ্গে করতে পারবেন কি না? তারা একমত হতে পারেননি। কে আগে করবেন, কে পরে করবেন- সেই বিষয়েও একমত হতে পারেননি। আমাদের ওপর সিদ্ধান্তের ভার দিয়েছিলেন। আমরা তাদের জানিয়ে দিয়েছি, আমরা কোনো কিছু পরিবর্তন করবো না। গতবার যেভাবে হয়েছে, এবারও ঠিক সেভাবে ইজতেমা সুসম্পন্ন করবেন। তারা উভয়েই মেনে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক হোসেনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু

তিনি বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্তে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। দুবারে আয়োজন করা হবে। জুবায়ের গ্রুপ প্রথমে ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি ইজতেমা করবে। দ্বিতীয় পক্ষের ওয়াসিফুল গ্রুপের ইজতেমা হবে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ইজতেমা করার জন্য তাদের বলা হয়েছে। তারা সেটাই করবেন।’

সীমিতভাবে করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত করা হবে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমেই বলেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে, একটু দূরে বসা, মাস্ক পরা এবং টিকা নেওয়া ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবেন না— এ ধরনের কাজগুলো করতে হবে। আমরা নেতাদের কাছে আবেদন করেছি, গতবার যে জেলা থেকে যত লোক এসেছেন, এবার যাতে এ সংখ্যাটা কমিয়ে আনেন।’

প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষে সংশ্লিষ্টরা প্রশাসনকে মাঠ বুঝিয়ে দেবেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘বাকি সময়টুকু মাঠ তৈরি করে দ্বিতীয় দফার জন্য তৈরি করা হবে।’

সভায় ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।