প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে বঙ্গোপসাগরে, সংকট ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায়

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে বঙ্গোপসাগরে। অথচ এই ভরা মৌসুমেও ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় চলছে ইলিশের সংকট। নদীতে আশানুরূপ ইলিশ না পেয়ে জেলেরা সাগরমুখী হয়ে পড়ছেন।
আর এতেই সরগরম হয়ে উঠেছে ইলিশের আড়ত। সাগরে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তাতেই সংকট দূর করতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলেরা।
আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত
এদিকে গত এক মাসে সাগর থেকে প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্যবিভাগ।
তারা বলছেন, আগামী কয়েকদিন পর ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে। ডিম ছাড়ার সময় হলে নদীতেও ধরা পড়বে ইলিশ।
আরও পড়ুন: পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার
দুই সপ্তাহ আগে কিছুটা মাছ পেয়ে আশা জেগেছিল জেলেদের মনে। কিন্তু এরপরেই আবার দেখা দেয় ইলিশের সংকট। ফের অনিশ্চয়তায় পড়েন জেলেরা। তবে গত দু’তিনদিন ধরে সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। জেলেরা সেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আড়তে। আর এতেই সরগরম উপকূলের আড়তগুলো। এমন মাছের সরবরাহে খুশি জেলেরা।
নদীতে সারাদিন জাল বেয়ে তেলের খরচ ওঠে না বলে ঝুঁকি নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যাচ্ছে জেলেরা। সাগরে যে পরিমাণ মাছ মিলছে তাতে খরচ উঠে সংকট দূর হবে বলে জেলে ও আড়তদাররা আশাবাদী।
এদিকে ইলিশের পেটে ডিম এলে একইভাবে নদীতেও ইলিশ মাছ ধরা পড়বে বলে মনে করছে মৎস্যবিভাগ।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ বলেন, এ মৌসুমে নানা কারণে ইলিশের সংকট, এর মধ্যে বৃষ্টিপাত কম হওয়া, ডুবোচরে তলদেশ ভরাট এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণ রয়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ইলিশের ভরা মৌসুম এক মাস পিছিয়েছে, তবে আগামী এক মাসের মধ্যেই ইলিশের পেটে ডিম আসবে তখন সাগর থেকে নদীমুখী হবে ইলিশ।
এ বছর জেলায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন। আর জেলায় বাৎসরিক ইলিশের চাহিদা ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। অবশিষ্ট ইলিশ চলে যায় ঢাকা চাঁদপুরসহ বিভিন্ন পাইকারি আড়তে।