স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একরামুজ্জামানকে সমর্থন দিলেন জাপার শাহনূল

Babul khandakar
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ন, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ২:০৪ অপরাহ্ন, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নুসরাত জাহান জেরিন, প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ‘ভোটেরমাঠেএকটা অংশ আওয়ামীলীগের, আরেকটা আওয়ামীলীগ বিরোধী’- এমন মন্তব্য করেএবার কলার ছড়ি প্রতীককে সমর্থন জানিয়েছেন লাঙল প্রতীকের প্রার্থী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে ভোটের মাঠে নৌকা বিরোধীর পাল্লা  এভাবেই দিনে দিন ভারী হচ্ছে।

রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে দলীয় নেতা-কর্মীসহ নিজের সমর্থকদেরকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার পরিষদের পেছনে অবস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী কলার ছড়ি প্রতীকের সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের বাসায় গিয়ে তাকে সমর্থন করেনএবং তার পক্ষে ভোট চান জাতীয় পার্টির মো. শাহনূল করিম। এ সময় তিনি একরামুজ্জামানকে বারবারই‘ভালো লোক’ ও ‘ভাই’হিসেবে সম্বোধন করেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে থাকা একটি ভিডিও থেকে শাহনূল করিমের এ ধরণের বক্তব্য শোনা যায়। 

আরও পড়ুন: নরসিংদীতে পৃথক দুই হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামি গ্রেপ্তার

এর আগে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী রোমা আক্তার ও এটিএম মনিরুজ্জামান দল মনোনীতের পক্ষে না গিয়ে কলার ছড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছেন। আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতাও পক্ষ নিয়েছেন ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীর। 

বর্তমানে আসনটিতে কাগজে-কলমে পাঁচজন প্রার্থী থাকলেও শাহনূর স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন করায় বাস্তবে রয়ে গেলেন চারজন। বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বাদে আসটিতে তেমন কোনো শক্তিশালী প্রার্থী নেই। যে কারণে ফরহাদ হোসেন ও একরামুজ্জামানের মধ্যেই লড়াই হবে বলে এক প্রকার নিশ্চিত। আসনটিতে অন্য প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির বকুল হোসেন ও ইসলামী ফ্রন্টের মো. ইসলাম উদ্দিন। 

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, নিহত ১

একরামুজ্জামানের বাসায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহনূল করিম বলেন, ‘দেখলাম মানুষের মাঝে আমাদের প্রিয় বড়ভাই সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে নিয়েএকটি উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আমি পর্যবেক্ষণ করেছি। আমি কিন্তু প্রচারণায় নামি নাই। কারণ আমি দেখতে চাচ্ছিলাম মানুষ যে দিকে, আমার মূল বক্তব্য হলো কারো না কারো মাধ্যমে মানুষের উপকার হলেই আমি এই কাজটা করতাম। আমি দেখলাম, তিনি অনেক যোগ্যতা সম্পন্ন লোকজন, বাংলাদেশের মধ্যে দুই -তিনজনের মধ্যে একজন এবং ভালো মানুষ। ২০০১ সালে তিনি নির্বাচন করেছেন। কিন্তু মানুষের মনের তো একটা শখ থাকে, এমপি হওয়ার একটা বাসনা থাকে। এমপি না হলেও ওনার যোগ্যতা আছে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার। হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন -কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। যেটা অন্য কোনো প্রার্থী কিন্তু করে নাই। করতে পারেও নাই। তাদের সেই যোগ্যতা আল্লাহ দেয়ও নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের উপ-নির্বাচনে আমার বড়ভাই (প্রয়াত রেদওয়ান আহমেদ) ওনাকে (একরামুজ্জামান) সমর্থন দিয়েছিল। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমার ভাই ৫০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে পাস করত। জোর করে তাকে ফেল করানো হয়েছে। মানুষ ভাইকে নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে, আমার লোকজনও ওনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমি দাঁড়ানো থাকলে এমপির ভোটটা নষ্ট করে ফেলি, ভাইয়ের ভোটটা মাইনাস হবে। আমার ভোটটা সহ যদি যোগ হয়, ভাই বিপুল ভোটে পাস করবে। ভাই যদি এমপি হতেপারে, আপনারা যারা জাতীয়পার্টির নেতাকর্মী আছেন, সাধারণ গরীব, অধিকার বঞ্চিত যারা আছে সবাইকে উপকার করতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস। আশা করি ভাই নির্বাচিত হলে নাসিরনগরের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আজ সকলে ঐক্যবদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘যেখানে সমাজের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, আমি তো আর একা একা বসে থাকতে পারিনা। দলমত নিয়েঐক্যবদ্ধ হয়েছি, ভাইকেএমপি বানানো জন্য। তাহলে আমাদের কি করতে হবে। জাতীয়পার্টির নেতাকর্মী যেখানে আছেন সবাইকে বলবেন যে আমি বলছি ঘরে ঘরে গিয়ে কলার ছড়ি মার্কায় ভোট চাই।’