ঝালকাঠিতে ১৪ নিহত : বৌভাতের আনন্দে শোকের মেঘ
ঝালকাঠির গাবখান এলাকায় আজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় ১৪ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহতদের বেশিরভাগই একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।
দুর্ঘটনার স্থান থেকে উদ্ধারকৃত হতাহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৯ নভেম্বর অষ্টগ্রাম সাবুদ আলীর বাড়ির ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
আহতদের মধ্যে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুজন। বাকিরা ঝালকাঠিতেই মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী বাঁচাতে ছয় দফা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জামায়াতের র্যালি
বরিশালে মারা যাওয়া দুজন হলেন- পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার মেসন্ডা এলাকার সুবিদ আলী হাওলাদারের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৭০) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার রামনগর এলাকার বাদশা মিয়ার প্রতিবন্ধী ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৩৫)।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট হাট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ কামাল হোসেন বলেন, ব্যাটারিচালিত চারটি ইজিবাইক ও একটি মাইক্রোযোগে প্রায় ২৫ জন নিয়ে গাবখান ইউনিয়নের ওস্তাখাল গ্রামে বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। আমার শ্যালিকার বৌভাতের আয়োজন ছিল। পথে গাবখান টোলে আমাদের গাড়িগুলো টোল দিচ্ছিল। এরই মধ্যে সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক পেছন থেকে আমাদের গাড়িগুলো, পথচারী ও টোলকর্মীদের চাপা দেয়।
শেখেরহাট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতফি আহম্মেদ বলেন, আমার ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ কামাল হোসেনের শ্যালিকার বৌভাতে সবাই যাচ্ছিল। কামাল হোসেন আমাকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১০ জন তার নিজের পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্মদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ১৪ জন নিহতের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। উদ্ধারকাজ শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।





