টঙ্গীবাড়ীতে শিক্ষার্থীকে গাছের সাথে ঝুঁলিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

Abid Rayhan Jaki
মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ন, ০২ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ১:০২ পূর্বাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নের পূর্ব নিতীরা গ্রামে ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে গাছের সাথে ঝু্ঁলিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১জুলাই) বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নের পূর্ব নিতীরা গ্রামে  মো. সিয়াম (১২) নামের একটি এতিম শিশুকে গাছের সাথে ঝুলিয়ে নির্যাতন এর অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মো. করিম মাদবর (৬০)  বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার সিয়াম টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সোনারং গ্রামের মো. টুকু সর্দারের ছেলে। 

নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে বইতে থাকে সমালোচনার ঝড়। তীব্র ক্ষোপ বিরাজ করছে আড়িয়ল ইউনিয়ন তথা টঙ্গীবাড়ি উপজেলা জুড়ে।

আরও পড়ুন: নাসিরনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

স্হানীয় একাধিক সুত্র থেকে জানাযায় - আড়িয়ল ইউনিয়নের পূর্ব নিতীরা গ্রামের স্হানীয় রিয়াদ, রনি, রাশিদুল নামের তিনটি ছেলে করিম মাদবরের আখ ক্ষেতের আখ চুরি করে খায়। সন্দেহ ভাবে করিম মাদবর এতিম ছেলে সিয়ামকে ধরে এনে অমানবিক ভাবে গাছের সাথে ঝুঁলিয়ে নির্যাতন করে।

শিশু সিয়াম বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় মা শিউলি আক্তারের অন্যত্র বিবাহ হওয়ায় নানা মো. মন্নান শেখের কাছেই পূর্ব নিতীরা গ্রামে বসবাস করছে। সিয়াম নানাবাড়ি থেকে নিতীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর পড়াশোনা করছে।

আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

নির্যাতনের শিকার সিয়াম এর চাচা ডা: আলমগীর সর্দার জানান, যারা আখ চুরি করছে তাদের না ধরে আমার ভাতিজাকে আম গাছের সাথে ঝুঁলিয়ে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। যা আইন বহির্ভুত। এর বিচার চাই। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. করিম মাদবরের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয় আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বাচ্চাটি নির্দোষ। একটি অমানবিক কাজ করেছে করিম মাদবর। এটা অত্যান্ত দুঃখজনক। আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হালদার বলেন, আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। আমার কাছে এখনও এ বিষয় কোনো অভিযোগ আসেনি।

এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মোল্লা শোয়েব আলী বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।