নোয়াখালীর সেই নারীকে তার স্বামীর অপহরণচেষ্টা

Any Akter
নোয়াখালী সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১:৪৪ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৪ | আপডেট: ৬:৩১ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক নারীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তোলার একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে এটিকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। অবশ্য ওই নারীর বাবা ও গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ঘটনাটি সত্য হলেও সেটা সাম্প্রদায়িক হামলা বা সহিংসতার ঘটনা ছিল না। ওই নারীকে অপহরণের চেষ্টা করেছিলেন তাঁর স্বামী। তবে তিনি তা পারেননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক জোরপূর্বক এক নারীকে একটি মাইক্রোবাসে ওঠানোর চেষ্টা করছে। এ সময় ওই নারীকে আত্মচিৎকার করতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে ‘ছেলের হাতে’ মা খুন

স্থানীয়দের ভাষ্য, দাম্পত্য বিরোধের জেরে স্বামীর ঘর থেকে তাঁদের বাড়িতে চলে এসেছিলেন ওই নারী। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁর স্বামীসহ কয়েকজন ব্যক্তি। তখন ওই নারীর চিৎকার শুনে গ্রামবাসী এগিয়ে আসেন। তাঁরা মাইক্রোবাসটি ভাঙচুর করেন। এ সময় ওই নারীর স্বামীসহ তিনজনকে তাঁরা আটক করেন। আটক ব্যক্তিদের সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানায় গ্রামবাসী।

ভুক্তভোগী নারীর বাবা জানা, তাঁর মেয়ের প্রায় চার বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের স্বামী তাঁর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তিনি ৩ লাখ টাকা যৌতুক দিলেও তাঁর মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে। দুই বছর আগে ওই নারী স্বামীর ঘর থেকে চলে আসেন। এরপর এক সালিস বৈঠকে দুজনের বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। 

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১

বিচ্ছেদ কার্যকরের আগে ওই নারীকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধের কথা ছিল বলে জানান তার বাবা। তিনি বলেন, টাকা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানানোর পর তার মেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।

নারীর বাবা আরও বলেন, মামলায় হাজিরা দিতে এসে দেড় মাস আগেও একবার স্বামীসহ কয়েকজন আদালত চত্বর থেকে তাঁর মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করেছিলেন। তখন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে তাঁর মেয়ের রক্ষা হয়। সর্বশেষ গতকালও দুটি মাইক্রোবাসে করে ১৭-১৮ জনের একটি দল তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার কারণে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।