ধর্মপাশায় শয়তান খালের উপর ব্রিজটি মরণ ফাঁদ
সুনামগঞ্জে ধর্মপাশা উপজেলা সদরের নেত্রকোণা মধ্যনগর হাইওয়ে রোডের কাজীর অফিস থেকে ধর্মপাশা মহেশখলা সড়কের ধর্মপাশা ডিগ্রি কলেজের সামনে পর্যন্ত বাইপাস রাস্তাটির সামনে পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে শয়তান খালের উপর এই ব্রিজটি অবস্থিত।
১৯৯৫ ইং সনে ছাত্র ছাত্রী ও জনসাধারণের যাতায়াতের জরুরি প্রয়োজনে কাচা সড়ক হিসেবে নির্মিত হয় এবং শয়তান খালের উপর বাঁশের সেতু দ্বারা জনসাধারণ ও ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের পথ সুগম হয়। সেতুটি পাকা করণের জরুরি প্রয়োজন বিধায় উপজেলা পরিষদ দরপত্রের মাধ্যমে ১৯৯৭ ইং সনে স্থানীয় জনৈক ঠিকাদারের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে এই ফুটপাত ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। অবস্থার কারণে উপজেলা পরিষদ প্রথমে দরপ্রত্রের মাধ্যমে বৃকশলিং করা হয় এবং পরবর্তী অর্থবছরে দরপত্রের মাধ্যমে রাস্তাটি পাকাকরণ করা হয়।
এতে করে জনসাধারণ, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়,ধর্মপাশা ডিগ্রি কলেজ ও উপজেলা পরিষদ যাতায়াতের সুবিধা হয়।দীর্ঘদিন যাবৎ এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করার কারণে পাকা রাস্তাটি ভেঙে যায় এবং ব্রিজটির বেহাল দশায় পরিণত হয়। ইতোমধ্যেই ব্রিজটির বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে পড়েছে এবং রেলিং ভেঙে পড়েছে। ব্রিজটি দিয়ে ৫/৭ জন লোক অথবা একটি মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা পারাপারে ব্রিজটি কেঁপে উঠে। নিরুপায় হয়ে ছাত্র ছাত্রী ও জনসাধারণ জীবনের যুকি নিয়ে পারাপার করে আসছে। এতে করে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে জনসাধারণ ও ছাত্র ছাত্রীদের মারাত্মক জীবন নাসের কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন
বাউফলে অগ্নিকাণ্ডে ৮টি বসতঘর ভস্মীভূত
জানা যায়, ২০/২১ অর্থ বছর এবং ২২/২৩ অর্থ বছরে অত্র এলাকার জনসাধারণ ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ তিনবার স্থানীয় ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদনের রাস্তাটির চলাচলের অনুপযোগী রাস্তায় জলাবদ্ধতা ও ফুটপাত ব্রিজটির বেহাল দশার কথা উল্লেখ করে। আবেদন করার কারণে সুনামগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করে টিকাকার নিযুক্ত করে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। দুই জন টিকাকার ব্রিজের উভয় পাশে রাস্তা ও ড্রেইন নির্মাণের কাজ করিতেছে।
জনসাধারণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০২৩ ইং সনের নভেম্বর মাসের ব্রিজটির মাটি সয়েল টেস্ট হয় কিন্তু স্থানীয় প্রকৌশল ও নির্বাহী প্রকৌশলীর গাফিলতির কারণে ব্রিজটি আজও টেন্ডার হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহবুদ্দিন জানান, শয়তান খালের উপর এলজিইডি ব্রিজটি নির্মাণ করা অতি জরুরি। ডিজাইন ইউনিটে কাজ চলমান আছে, আশা করি কিছু দিনের মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে টিকাকার নিযুক্ত করে কাজ শুরু হবে। ভুক্তভোগী মহল দাবি জানিয়েছে মারাত্মক দুর্ঘটনার হাত থেকে জনসাধারণ ও ছাত্র ছাত্রীদের বাঁচানোর লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ একান্ত ভাবে কাম্য।





