পাবনায় বিয়ে না পড়ানোয় মুয়াজ্জিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, আটক ১

Sanchoy Biswas
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ন, ১০ জুন ২০২৫ | আপডেট: ৪:৩৭ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মেয়ের সম্মতি না থাকায় বিয়ে পড়াতে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শাহাদাত হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

সোমবার (৯ জুন) দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর সিকেবি আলিম মাদরাসায় এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে মারা যান আহত মুয়াজ্জিন গনি মোল্লা (৪৬)। 

আরও পড়ুন: ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিলের দাবিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মানববন্ধন

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত গনি মোল্লা উপজেলার চন্ডিপুর সিকেবি আলিম মাদরাসার নৈশপ্রহরী ও স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন। অন্যদিকে অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন একই এলাকার বুদ্ধ হোসেনের ছেলে। তিনি মাদকাসক্ত বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: ফের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম রবি শিক্ষার্থীদের

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত গনি মোল্লা প্রতিদিনের মতো মাদরাসায় ডিউটি করছিলেন। এদিকে শাহাদাত সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন বলে নিজের ভুয়া পরিচয় দিয়ে বরিশাল থেকে একটি মেয়েকে এলাকায় নিয়ে আসেন ও বিয়ে করতে চান। কিন্তু মেয়েটি এখানে এসে বুঝতে পারেন শাহাদত মিথ্যা পরিচয় দিয়েছেন। তিনি একজন নেশাগ্রস্ত যুবক। ফলে ওই মেয়ে বিয়ে করতে অসম্মতি জানালেও শাহাদত জোরপূর্বক বিয়ে করতে চান। পরে রাতে ডিউটিরত গনি মোল্লাকে ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী বিয়ে পড়াতে বলেন। এর আগে কাজী অফিস থেকে তারা অফিসিয়ালি বিয়ে সেরেছেন বলে মিথ্যা তথ্য দেন। এসময় মেয়েটি বিয়ে করতে অসম্মতি জানালে বিয়ে পড়াতে অপারগতা প্রকাশ করেন গনি মোল্লা। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গনি মোল্লার ডিউটি কক্ষেই তাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে কক্ষে আটকে রেখে চলে যান শাহাদাত। পরে আহত গনি মোল্লা ফোনে খবর দিলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তকে সকালে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।