হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক

Sanchoy Biswas
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ন, ২৬ জুন ২০২৫ | আপডেট: ৪:৪৪ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার পাড়া-মহল্লায় হাত বাড়ালেই মিলছে সব ধরনের মাদক। মারণনেশা ইয়াবায় ডুবে থাকছে উপজেলার উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত শ্রেণির হাজারো তরুণ। এ তালিকায় রয়েছে উঠতি বয়সী যুবসমাজ, স্কুল-কলেজের ছাত্র, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে দুই উপজেলায় মাদকাসক্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এ নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠায় আছেন। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, মাদক বিক্রির তালিকায় প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানরাও জড়িত। আর প্রভাবশালীদের কারণেই প্রশাসনও রয়েছে বেকায়দায়। পুলিশ বিভিন্ন সময় ইয়াবা, অন্য মাদকদ্রব্যসহ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করলে সঙ্গে সঙ্গে তদবির শুরু করেন প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাদক ব্যবসায়ীদের আদালতে চালান দেওয়ার কিছুদিন পর জামিনে এসে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দুর্বল হওয়ায় আসামিরা সহজেই ছাড়া পেয়ে যান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, দুই উপজেলায় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক স্পটে মাদকসেবীদের আড্ডা রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ থেকে করুণানগর এবং রামগতি উপজেলার জমিদারহাট থেকে রামগতি বাজার হয়ে বয়ারচর টাংকি বাজার পর্যন্ত ইয়াবা সেবন, পাচার ও ব্যবসা জমজমাট। এসব মাদক কক্সবাজার থেকে সড়ক ও নৌপথে এ অঞ্চলে আসে। অন্যদিকে ইয়াবা ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট, করুণানগর, চর লরেন্স, কড়ইতলা ও তোরাবগঞ্জ বাজার। স্থানীয় লোকজন বলছে, একসময় কমলনগর ও রামগতিতে ফেনসিডিল, গাঁজা ও মদের ব্যবসা করতেন গুটিকয়েক মাদক ব্যবসায়ী। তা-ও খুব গোপনে বেচাকেনা হতো। এখন গাঁজা-মদের পাশাপাশি চলছে মারণনেশা ইয়াবার ব্যবসা।

আরও পড়ুন: ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিলের দাবিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মানববন্ধন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক বলেন, এসব মাদক সেবনকারীরা সবাই অল্পবয়সী। এসব যুবকের পকেটে থাকে ইয়াবা ট্যাবলেট, যা তাঁরা হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন পরিচিত মাদক সেবনকারীদের কাছে।

এ বিষয়ে কমলনগর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'যেখানেই আমরা মাদকসংক্রান্ত সংবাদ পাই, সেখানে আমাদের অভিযান চলে। মাদকের ব্যাপারে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।'

আরও পড়ুন: ফের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম রবি শিক্ষার্থীদের

রামগতি থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, রামগতিতে মাদকের ব্যাপারে পুলিশ জিরো টলারেন্স। মাদকসংক্রান্ত অভিযান নিয়মিত চলছে।