কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে ফিল্মের চরম সংকট, দুর্ভোগে রোগীরা

Sanchoy Biswas
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:৫৯ অপরাহ্ন, ২৯ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১০:২৯ অপরাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে ফিল্মের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে এক্স-রে করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব রয়েছে। এর ফলে রোগীরা সঠিক সময়ে এক্স-রে করতে পারছেনা। এতে দুর্ভোগে পড়ছে রোগীরা। ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা। বর্তমানে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে সমস্যা একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিনিয়তই সাধারণ রোগীরা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মূত্র ও রক্তের পরীক্ষাগুলো করাতে পারলেও এক্স-রে করাতে গিয়ে  মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ছেন। 

আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় ২০ আগস্টের পর নিয়ম ভাঙলেই ব্যবস্থা: ইউএনও

হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষের সামনে  রোগীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এক্স-রে ফিল্ম সংকটের কারণে এক্স-রে না করেই অনেকেই বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। 

হাসপাতালে আগত একাধিক রোগী ও স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালে এক্স-রে করাতে না পেরে প্রতিদিন অনেক রোগী আশপাশের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো থেকে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে এক্স-রে করতে বাধ্য হচ্ছেন। 

আরও পড়ুন: কাপাসিয়ায় আউস ধানের নমুনা শস্য কর্তন উদ্বোধন

এক্স-রে ফিল্ম সরবরাহে সংকট দেখা দেওয়ায় চাহিদামত রোগীদের এক্স-রে করা সম্ভব হচ্ছে না। 

এক্স-রে ফিল্মের সংকট থাকার কথা স্বীকার করেছেন কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান। 

তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালে বাজেট কম থাকায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। এক্স-রে ফিল্মের জন্য সরকারিভাবে যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা মাত্র ৩ থেকে ৪ মাস চলে। বাকী ৮ মাস আমাদের সমস্যা হয়। এ কারণে প্রতিদিন চাহিদা অনুযায়ী গড়ে ৮০-১০০ জন রোগীর এক্স-রে করার কথা থাকলেও সংকটের কারণে বর্তমানে দৈনিক ৩০-৪০ টি এক্স-রে হচ্ছে। কিন্তু বিগত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ - ১৫ টি এক্স-রে করা হতো। আমাদের হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন রয়েছে মাত্র দুইটি। দৈনিক এক্স-রে চাহিদা হচ্ছে ৮০-১০০। কিন্তু  বাজেট কম থাকায় এক্স-রে  ফিল্ম সংকটের কারণে সাধারণ রোগীদের সেবা দেয়া যাচ্ছে না। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এক্স-রে ফিল্ম ক্রয়ের জন্য বরাদ্দের আবেদন করেছেন বলে তিনি জানান।