কিশোরগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লা পুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিলের দাবিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মানববন্ধন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহ পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামাল পাশা ও কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ আহমেদের পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর জেরে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায়ই পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারই জেরে আজ মঙ্গলবার সকালে কামাল পাশা পক্ষের লোকজন ফরহাদ আহমেদের বাড়িতে (বাঘাবাড়ি) অতর্কিত হামলা করে। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় বাঘাবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা কামাল পাশা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি সোমবার ও আজকে একটি খেলার মাঠ পরিদর্শন করতে বাঘাবাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে আমার উপর আক্রমণ করে এই আওয়ামী পরিবারটি। পরে আমার লোকজন সেখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এতে আমার ১৫ জন লোক আহত হন।’
আরও পড়ুন: ফের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম রবি শিক্ষার্থীদের
অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘আমি দুই দিন ধরে কিশোরগঞ্জে রয়েছি। আমি জেলা স্বেচ্ছাসেবক কমিটিতে স্থান পাওয়ায়, কামাল পাশা এলাকায় দলীয় আধিপত্য বিস্তার করতে উসকানি দিয়ে আসছেন। মঙ্গলবার সকালে পরিকল্পিতভাবে কয়েক শ’ লোক নিয়ে আমাদের বাড়িঘরে আক্রমণ করে। এ সময় ভাঙচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগ করে ১৫ থেকে ২০ জনকে আহত করেছে।’
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ফোর্সসহ আমি ঘটনাস্থলে আসি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লেখাটি সব ঠিক রেখে শুধু বানান ঠিক করে দিন