‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে এনসিপির সমাবেশে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ন, ১৬ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩২ অপরাহ্ন, ১৬ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতে দুই দফা হামলার পর এবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পৌর পার্কে এনসিপির মঞ্চে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মঞ্চের সাউন্ড সিস্টেম, মাইক, চেয়ার ভাঙচুর করা হয় এবং এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশস্থলে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছিলেন। দুপুরে হঠাৎ কয়েকজন যুবক মঞ্চে হামলা চালায় এবং পাশের চেয়ার ভাঙচুর করে। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।

আরও পড়ুন: নাসিরনগরে আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত

এ ঘটনায় উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করে স্লোগান দেন এবং পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “নিরাপত্তা দিতে না পারলে আমাদের বলুন, আমরাই নিজেদের রক্ষা করব।”

বুধবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়ায় পুলিশের একটি গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন গোপীনাথপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার ও মিনহাজ। আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাভারে পাচারকালে পিকআপসহ সাড়ে ৬ লাখ টাকার টিসিবি’র পণ্য জব্দ, আটক-১

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, একদল যুবক পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করছে এবং আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। তারা বলছে, “আমরা এখনও রাজপথে আছি। এই গাড়ি ভেঙে ফেল, আগুন ধরা।”

এ ঘটনার কিছু সময় পর সদর উপজেলার গান্ধিয়াশুর এলাকায় ইউএনও এম রকিবুল হাসানের গাড়ি বহরে হামলা হয়। ইউএনওর চালক আহত হন বলে জানা গেছে।

ইউএনও বলেন, “এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন উপলক্ষে পদযাত্রা বানচালের জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছে।”

জাতীয় নাগরিক পার্টি ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে। এরই অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বড় আকারের পদযাত্রা ও সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল।