জোয়ারের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড সেন্ট মার্টিন, ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি হোটেল-রিসোর্ট
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা কয়েকদিনের উঁচু ঢেউয়ে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিভিন্ন অংশ লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। জোয়ারের পানির তীব্র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১১টি হোটেল-রিসোর্ট ও শতাধিক বসতঘর।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, গত দুই দিনে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ১-৩ ফুট উচ্চতায় দ্বীপে প্রবেশ করে। এতে সমুদ্রতীরবর্তী হোটেল অবকাশ পর্যটন, নোনাজল বীচ রিসোর্ট, আটলান্টিক রিসোর্ট, বীচ ক্যাম্প রিসোর্ট, নিল হাওয়া, শান্তি নিকেতন, মেরিন, পাখি বাবা, সি-ভিউ, ড্রিমার্স প্যারাডাইস এবং সানডে বীচ রিসোর্টসহ মোট ১১টি হোটেল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে তীব্র শীত, তেঁতুলিয়ায় পাঁচ দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, "দ্বীপবাসী এমন ভয়াবহ জোয়ার এর আগে দেখেনি। বহু গাছপালা উপড়ে পড়েছে, লোকালয়ে লবণাক্ত পানি ঢুকে শতাধিক বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।"
স্থানীয় বাসিন্দা ওসমান জানান, “বীচসংলগ্ন হোটেলগুলোর অধিকাংশই পানির নিচে চলে গিয়েছিল। এখন পানি নেমে যাওয়ায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলের সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
আরেক বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, “সেন্ট মার্টিন রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।”
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান বলেন, “জোয়ারে কয়েকটি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—এমন খবর পেয়েছি। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে, পর্যটননির্ভর দ্বীপটিতে টেকসই অবকাঠামোর অভাব ও জলবায়ুজনিত ঝুঁকি বাড়তে থাকায় দ্রুত সরকারি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।





