নির্বিকার পুলিশ প্রশাসন

একাধিক চাঁদাবাজি মামলার পরও আশুলিয়ার বিএনপি নেতার হুমকি-ধমকি

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার পত্রিকার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৬:২৯ অপরাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় বিএনপি নেতা দুলাল ডাক্তারের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি মামলা হলেও পুলিশ তাকে ধরছে না। মামলার আসামি হওয়ার পরও বাদীর পরিবারসহ আশেপাশের ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। মৌখিক অভিযোগ দেওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন নির্বিকার। তবে আশুলিয়া থানার ওসি বলছেন, তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না।

আশুলিয়া থানার বাইপাইল এলাকায় পরপর তিন বার চাঁদার দাবিতে প্রবাসী মরিয়ম ইয়াসমীনের এগ্রো ফার্মে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ঘটনারায় ১৬ জুলাই তারিখে কানাডা প্রবাসী মরিয়ম ইয়াসমীনের নিকট চাঁদা দাবিকৃত চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার এতদিন পরও পুলিশ প্রশাসন আজ পর্যন্ত কোনো চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেনি।

আরও পড়ুন: ভারতীয়দের গণপিটুনিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত, আহত ৫

ইতোমধ্যে আসামিরা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলেও মাননীয় আদালত তাদের আবেদন নাকচ করে দেন। কিন্তু ইতোমধ্যেই উক্ত মামলার আসামিরা প্রশাসনের নাকের ডগায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং নিশ্চিন্তে বাড়িতে অবস্থান করছে।

আবারও আসামি দুলালের নেতৃত্বে দুলাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মরিয়ম ইয়াসমীনের এগ্রো ফার্মে হামলা করার প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। এমতাবস্থায় বাদী মরিয়ম ইয়াসমীন এবং তার প্রজেক্টের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

আরও পড়ুন: বিশেষজ্ঞ দলের চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাসায়নিক ল্যাব বিষয়ক প্রশিক্ষণ

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, দুলালের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই তিনি নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করেন এবং পুলিশ প্রশাসনও তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তার বিরুদ্ধে নানান ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এবং বেশিরভাগ ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ প্রকাশিত থাকার পরও পুলিশ এবং তার রাজনৈতিক দল (সে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় অপরাধ সংঘটিত করে) তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সে আরও বেশি অপরাধ করতে সাহস পাচ্ছে।

জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে যে, সে হয়তো তার দলের প্রচ্ছন্ন মদতে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করতে উৎসাহিত হচ্ছে।

আশুলিয়া এলাকায় স্থানীয় গণ্যমান্য মানুষের মতে, দুলালকে না থামানো গেলে সে বিএনপির জন্য বিষফোড়া হিসাবে দেখা দেবে এবং এই জনপদের মানুষের জন্য আতঙ্ক তৈরি করবে।

কানাডা প্রবাসী মরিয়ম ইয়াসমিন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা দুলাল ডাক্তারের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা করলেও এখনো দুলাল ডাক্তার বাড়িতেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তবে আশুলিয়া থানার ওসি আব্দুল হান্নান বাংলাবাজার পত্রিকাকে জানান, চাঁদাবাজি মামলার আসামি দুলাল ডাক্তারকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে বিএনপির দলীয় প্রভাব বিস্তার অভিযোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অবহেলার অভিযোগ সঠিক নয়।