সুন্দরবনে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বনবিভাগের চিরুনি অভিযান

Sadek Ali
সৈয়দ আব্দুস সালাম পান্না, সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৩:২৩ পূর্বাহ্ন, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাতক্ষীরা পশ্চিম সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ, অবৈধভাবে আহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বনবিভাগ বিশেষ চিরুনি অভিযান শুরু করেছে।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে সুন্দরবনের বিভিন্ন অভয়ারণ্য, খাল, ও নদীতে টহল দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানান বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।

আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে এনসিপি ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণে আহত ৮

বনবিভাগের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে কিছু অসাধু চক্র মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছে, আবার কেউ কেউ বিষ ব্যবহার ও জাল ফেলে মাছ আহরণ করছে। এ ছাড়া বনাঞ্চলের ভেতরে ঢুকে বন্যপ্রাণী শিকার করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অনিয়ম ও অপরাধ বন্ধ করতেই এ বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।

অভিযান চলাকালে বনরক্ষীরা সন্দেহভাজন নৌকা ও জাল বাজেয়াপ্ত করেন এবং বনাঞ্চলে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের সতর্ক করে দেন। আটক কিছু জেলেকে বন আইনের আওতায় মামলা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

পশ্চিম বনবিভাগের আওতাধীন বুড়িগোয়ালিনী এলাকার মৎস্য জেলে একরামুল(ছন্দ নাম) বলেন সুন্দরবনের বেশি ভাগ ক্ষতির কারণ কিছু দালাল চক্র ও কোম্পানি, এদের সাহসে যত অপকর্মে লিপ্ত হয় জেলেরা। তাদের দাবি সুন্দরবন কে সুরক্ষিত রাখতে হলে দালাল ও কোম্পানিদের অপসারণ করতে হবে।

নিলডুমুর এলাকার মনিরুল ইসলাম বলেন কিছু অসাধু কোম্পানি এবং জেলেদের কারণে নিরীহ জেলেদের উপর চাপ না পড়ে সে বিষয়ে বনবিভাগের কাছে আমাদের আহবান,আমরা চাই অবৈধ ব্যবসাদার এবং অবৈধ জেলেদের আটক করে আইন আওতায় নিয়ে আসা হোক।

পশ্চিম বনবিভাগের সরকারি বন সংরক্ষক ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া জেলেদেরও সচেতন করা হচ্ছে যেন তারা বৈধ পাসপারমিট ছাড়া সুন্দরবনে প্রবেশ না করে এবং কোনোভাবেই ক্ষতিকর পদ্ধতিতে মাছ শিকার না করে।

স্থানীয় সচেতন মহল বনবিভাগের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নিয়মিত এ ধরনের অভিযান চালানো হলে সুন্দরবনের সম্পদ ও বন্যপ্রাণী অনেকাংশেই সুরক্ষিত থাকবে।