চিহ্নিত ভূমিদস্যু সঞ্জয় কুমার শীলের বিচার দাবিতে পিরোজপুরে সংবাদ সম্মেলন

পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলার ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা সঞ্জয় কুমার শীলের দখল ও হুমকির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন অ্যাডভোকেট রনি রায়ের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট রনি রায় অভিযোগ করেন, “আমার বাবার মৃত্যুর পর পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগদখল করতে গেলে সঞ্জয় কুমার শীল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। টাকার প্রয়োজন হলে আমি আমার জমি জসিম উদ্দিন হাওলাদারের কাছে সাত বছরের জন্য বন্ধক রাখি এবং মোঃ সালাউদ্দিন হাওলাদার (লাভলু)-এর কাছে ১৪২.৯৬ একর জমি খোলা বায়না করি। কিন্তু তাদেরকেও সঞ্জয় ওই জমিতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। বিভিন্ন নম্বর থেকে র্যাব কর্মকর্তার পরিচয়ে হুমকি দিচ্ছে এবং আমাদের হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা পর্যন্ত করেছে।”
আরও পড়ুন: বাংলা প্রেসক্লাব অব মিশিগানে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত কুলাউড়ার লিটু
তিনি আরও জানান, পৈত্রিক ভিটা ও পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে মঙ্গলবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত সঞ্জয়ের কাকি দীপু রানী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমার ভাসুরের ছেলে সঞ্জয় আমাদের চলাচলের রাস্তা আটকে দিয়েছে। এর কারণে আমরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারিনি। এমনকি আমার সন্তানকে বিকল্প পথে পানি পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে। কিছু বললেই সে হুমকি প্রদান করে।”
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে মানবতার দেয়াল অসহায় মানুষের মুখে নতুন হাসি, মানবিকতার নতুন ইতিহাস
এ বিষয়ে ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার জানান, “অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে আমরা সঞ্জয় কুমার শীলের জমি দখল ও রাস্তা আটকে রাখার সত্যতা পাই। পরবর্তীতে আমরা গিয়ে চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করি। সেই ক্ষোভে সঞ্জয় আমাদের নামে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। সে স্থানীয় কোনো সালিশ মানে না। আমরা নিজেরাই এখন হয়রানির শিকার।”
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ জানান, “রনি রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে আমরা বৈঠক করি। কিন্তু সঞ্জয় কোনো সালিশ মানতে রাজি হয়নি। সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া তার নেশা ও পেশা। যেহেতু সে স্থানীয় সালিশ মানে না, তাই এ সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমেই সম্ভব।”
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা চিহ্নিত ভূমিদস্যু সঞ্জয় কুমার শীলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।