তিস্তা পাড় এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি, মাইকিং শুরু

Sanchoy Biswas
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৯:২১ অপরাহ্ন, ০৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৪৫ অপরাহ্ন, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে বিপৎসীমার ওপরে উঠে গেছে। রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবো সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। কিন্তু মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে সন্ধ্যা ৬টায় পানি ৮৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১

তিস্তা নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। সকালে সেখানে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৫১ দশমিক ৪৩ মিটার দিয়ে, যা সন্ধ্যা নাগাদ বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ দশমিক ২৮ মিটারে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর ডান তীরের বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে বাশের পাইলিং ও বালির বস্তা ফেলা শুরু করেছে পাউবো।

এরই মধ্যে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম এবং চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘর ও রোপা আমনের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান বলেন, দুপুরের পর থেকেই পানি দ্রুত বাড়তে থাকে। তিস্তা পাড়ের বোল্ডারের চর, খোকার চর, খাড়াপাড়া ও ফ্ল্যাটপাড়াসহ অনেক এলাকায় ঘরবাড়ি ও জমিতে পানি উঠেছে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি বাড়ায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে এবং মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। রোববার সন্ধ্যায় বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল এবং রাত ৮টার দিকে তা আরও বেড়ে ২৩ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারাজের সব ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে মাইকিং করা হয়েছে এবং সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে মাঠ প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে।