কমলনগরে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে ১৭ দিন ধরে অনশন, ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় ডিভোর্স

Sanchoy Biswas
হাবিবুর রহমান, কমলনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ন, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৪:৫৪ অপরাহ্ন, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে ১৭ দিন ধরে এক তরুণী তার স্বামীর বাড়িতে অনশন করেছেন। ১৭ দিন পর অবশেষে কাবিনের টাকা দিয়ে সেই তরুণীকে বিদায় করে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের জাজিরা নামক এলাকার মুসা ব্যাপারীর বাড়িতে।

স্থানীয়রা জানান, ২০২২ সালে কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের জাজিরা এলাকার মুসা ব্যাপারীর বাড়ির মো. হাকিমের ছেলে আবুল কালাম (কালু)-এর সঙ্গে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট এলাকার গোলাম তালুকদার বাড়ির শাহাবুদ্দিনের মেয়ে তাছলিমার বিয়ে হয়। তারা একে অপরকে ভালোবেসে গোপনে বিয়ে করেছিলেন।

আরও পড়ুন: মনজুর এলাহী'র উপরই তৃণমূলে আস্থা, রাজনীতির মাঠে বাড়ছে জনপ্রিয়তা

বিয়ের এক বছর আগে কালুর সঙ্গে তাছলিমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সূত্র ধরে ২০২২ সালে পরিবারের অজান্তে তারা পালিয়ে ৩ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেন।

বিয়ের পরে চট্টগ্রাম শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তারা। কিছুদিন আগে তিনি তাছলিমাকে চট্টগ্রাম শহরের ভাড়া বাসায় রেখে গোপনে গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চলে আসেন এবং নিজের ব্যবহৃত ফোনটিও বন্ধ করে রাখেন।

আরও পড়ুন: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

কয়েকদিন পর তাছলিমা ফেসবুকের মাধ্যমে দেখতে পান, কালু নতুন করে আবার বিয়ে করেছেন এবং বিয়ের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে এলাকার ঠিকানা সংগ্রহ করে তিনি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আসেন। কোনো উপায় না পেয়ে গত ২ অক্টোবর থেকে টানা ১৭ দিন কালুর বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেন তাছলিমা।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী সমাধানের উদ্যোগ নেয়। পরে উভয়পক্ষ বসে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা তাছলিমাকে দিয়ে বিদায় করে দেন।

চরফলকন ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল মেম্বার বলেন, “বিষয়টি সমাধানের জন্য কালুর পরিবার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায় করে তাছলিমাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেছে।”

অনশনরত তাছলিমা জানান, তার কাবিনের ৩ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বুঝিয়ে পেয়েছেন তিনি। তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেছে। এখন তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “উভয়পক্ষ বসে ঘটনাটি সমাধান করেছেন বলে আমাদের জানানো হয়েছে।”