কাশিয়ানীতে স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ও অনুদানের চেক প্রদান

Sanchoy Biswas
নেওয়াজ আহমেদ পরশ, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ন, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫৮ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ বাংলাবাজার পত্রিকা
ছবিঃ বাংলাবাজার পত্রিকা

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) ২২নং চাপতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উপজেলার ফিডিং কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন এবং দুপুর ৩টায় নিজামকান্দী উচ্চবিদ্যালয় এবং রামদিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ৪০ শিক্ষার্থীর মাঝে ৫ হাজার টাকা করে মোট ২ লক্ষ টাকার অনুদানের চেক প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ।

আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী বাঁচাতে ছয় দফা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জামায়াতের র‌্যালি

উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধনের মাধ্যমে গুণগতমানের শিক্ষা ও বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই শিক্ষা নিশ্চিত করা হলে শিক্ষার্থীরা দেশের সুনাগরিক হিসাবে গড়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, পড়াশোনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটে। তার পাশাপাশি যদি তাদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়, তাহলে তার মাধ্যমে তাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটবে এবং শিক্ষার্থীরা স্কুলমুখী হবে শতভাগ, পড়াশোনায় হবে মনোযোগী। আমরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করতে চাই।

আরও পড়ুন: দেবীদ্বারের কৃষিতে ফিরেছে সবুজ হাসি

কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার সরকার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজা বেগম, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, বিআরডিবি কর্মকর্তা সিফাত আজাদ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদুল আলম মুন্না।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, এই কার্যক্রম ২০২৭ সাল পর্যন্ত চলবে। দেশের নির্বাচিত ১৫০টি উপজেলায় মোট ১৯,৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১,১৩,০০০ শিক্ষার্থীকে সপ্তাহের পাঁচ দিন ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমী ফল, বনরুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধসহ পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, কাশিয়ানী উপজেলার ১৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট প্রায় ২০,০০০ শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।