ছবি মুক্তি পাইতে না পাইতেই “নকল” “নকল” রব তোলাটা খুবই বাজে কাজ

যদিও আমি ইদানীং যেটা ফলো করি সেটা হচ্ছে, আজাইরা কথার উত্তর না দেয়া। কিন্তু সুমনের (হাওয়া ছবির নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন) বিরক্তির কারণটাও বুঝতেছি- আজাইরা কথা বার বার বলতে থাকলে কিছু লোক বিশ্বাস করে বসে। এখন দুনিয়ায় বহু মানুষতো আজব আজব অনেক কিছু বিশ্বাস করে। আপনি হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্টদের গ্রুপগুলাতে গিয়ে যদি দেখেন তারা কি কি জিনিস বিশ্বাস করে, আকাশ থেকে পড়বেন। এই সব নিয়াই আমাদের এইসব জীবন।
আপনার ভালো লাগতে পারে, খারাপও লাগতে পারে সুমনের ছবি। সেটা বলতেও পারেন। কিন্তু ছবি মুক্তি পাইতে না পাইতেই “নকল” “নকল” রব তোলাটা খুবই বাজে কাজ। আমার টেলিভিশন ছবির সময়ও এই জিনিস আমি দেখছি। তখন আমি কারে জানি বলছিলাম, ভাইরে, আমি আগের রাতে যে স্ক্রিপ্ট লেখি, পরের দিন ঐটারেই ঠিকমতো নকল করতে পারি না, ইমপ্রোভাইজ কইরা ফালাই, সেখানে আরেকজনের বানানো ছবি কেমনে কপি করুম? সুমনের ছবির ক্ষেত্রেও আমি একই কথা বলতে চাই।
আরও পড়ুন: দুই হাত জোর করে বলছি, ফেসবুকবাসীগন ভুল তথ্য ছড়াবেন না
যাই হোক, অনলাইনের এই তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণ করার ফর্মুলা আমার জানা নাই। তবে এইখানে একটা আবেদন জানাইয়া রাখতে পারি, আমাদের ছোটো ইন্ডাস্ট্রি। এইখানে ছবি বাইর হওয়ার পরেই আমরা কেউ খড়গ হাতে নামি বাতিল করার জন্য, আরেকদল কোনো একটা ছবিকে বড় করার জন্য, বাকি সকল ছবিকে আবেগের আতিশয্যে বাতিল ঘোষণা করি! এই কালচার ক্ষতিকর।
দশে মিলি করি কাজ...
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থাকছে না : সংস্কৃতি উপদেষ্টা
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)