সড়ক ছেড়ে দিলেন জুলাই ঐক্যের কর্মীরা, যান চলাচল স্বাভাবিক
ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান এম্বাসি’ কর্মসূচি পালনকালে প্রগতী সরণিতে বাধার মুখে পড়ে সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন ‘জুলাই ঐক্য’-এর নেতাকর্মীরা। এতে প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে দিলে প্রগতী সরণি ও মধ্যবাড্ডা সড়কে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়। এর আগে বিকেল ৩টার পর থেকে এই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীর লালবাগে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন
এর আগে, বিকেল তিনটার পর রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় জড়ো হন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করা ঐক্যবদ্ধ মোর্চা ‘জুলাই ঐক্য’-এর নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা, ডাকসু ও জাকসুর একাধিক সাবেক নেতা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভারতীয় দূতাবাসের দিকে লং মার্চ এগোতে না পারায় আন্দোলনকারীরা প্রগতী সরণিতে অবস্থান নেন। তারা সড়কের ওপর বসে পড়েন এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনো সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশি ব্যারিকেডের ওপর উঠে জুলাই ঐক্যের নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী রানা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ফার্মগেটে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পাশাপাশি জুলাই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। এ ছাড়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিও তোলা হয়।
জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের বলেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই ভারতের প্রক্সিরা নতুন করে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে জড়িত খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে ভারত। শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার পর ভারতের বিভিন্ন মহলে উল্লাস আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। বাংলাদেশ ২.০-এ কোনো আধিপত্যবাদ আমরা মেনে নেবো না।”
পদযাত্রার আয়োজকরা জানান, এই কর্মসূচি থেকে ভারত সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের ফেরত না দিলে, পরবর্তী পরিস্থিতির দায় দিল্লি ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকেই নিতে হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন।
জুলাই ঐক্যের এই কর্মসূচিতে শত শত মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা মধ্যবাড্ডা ও প্রগতী সরণি এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভোগান্তিতে পড়া সাধারণ মানুষ এ সময় পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন।
এদিকে চলমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বুধবার দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টার সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।





