খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:১৫ অপরাহ্ন, ১৩ মে ২০২৪ | আপডেট: ৫:২৭ পূর্বাহ্ন, ১৪ মে ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সোমবার (১৩ মে) জানিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে উঠেছে। আগের মাসে (মার্চ) এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন: এমডি নিয়োগে কঠোর শর্ত: অভিজ্ঞতার মানদণ্ড কড়াকড়ি করল বাংলাদেশ ব্যাংক

এই মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী। কারণ, তাদের আয় বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্যের দাম বাড়ছে না। ফলে তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।

সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর আগে মার্চ মাসে তা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ফলে এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে। মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

আরও পড়ুন: সাহাবুদ্দিনকে আর্থিক সুবিধা দিতে ডাচ-বাংলার নিত্যনতুন কত কৌশল

বিবিএস প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, আর গ্রামে এ হার ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

অন্যদিকে, শহরে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ হলেও খাদ্যবহির্ভূত খাতে তা ৯ দশমিক ০১ শতাংশ। শহরের তুলনায় গ্রামে সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।

বিবিএস বলছে, যেখানে এপ্রিল মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সেখানে মজুরি সূচক বেড়ে মাত্র ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ হয়েছে। এর মানে সংসারের খরচ মেটাতে ধারদেনা করতে হচ্ছে মানুষকে। কৃষিতে মজুরি সূচক ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ, শিল্প খাতে মজুরি সূচক ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ ও সেবা খাতে মজুরি সূচক ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কোনো খাতেই ৯ শতাংশের ওপরে মজুরি নেই, অথচ সাধারণ মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চাপে আছে গ্রামীণ জনপদের মানুষ। মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধির সঙ্গে আয়ের অসঙ্গতি শহরের তুলনায় গ্রামেই বেশি।