ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

Sadek Ali
আরাফাত চৌধুুরী, জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮:৪২ অপরাহ্ন, ১২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১১:৩৯ অপরাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যা প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতা কর্মীরা। 

শনিবার দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা হতে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে ক্যাম্পাসের শহিদ রফিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র নারী ভিপি মাহফুজা খানমের মৃত্যু

বিক্ষোভ মিছিলে ‘রগ কাটা রাজনীতি, চলবে না চলবে না’, ‘পাক ভারতের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’,

‘চকবাজারে মানুষ মরে, ইন্টারিম কি করে’, ‘এক দুই তিন চার, গুপ্ত রাজনীতি নিপাত যাক’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিলের প্রতিবাদে নাসিরনগরে কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সংবাদ সন্মেলন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহম্মেদ বলেন, “সন্ত্রাসীর পরিচয় শুধুই সন্ত্রাসী - এর কোনো দলীয় পরিচয় হতে পারে না। আমরা চকবাজারের ব্যবসায়ী হত্যা, খুলনার নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং চাঁদপুরে এক ইমামকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই তিনটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী রূপে একটি গুপ্ত ছাত্রসংগঠন নির্দিষ্ট একটি হত্যাকাণ্ডকে সামনে এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা ন্যারেটিভ তৈরি করছে। কিছু ছাত্রসংগঠন আমার নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান, তাঁর পরিবার এবং বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়। দল কখনোই কোনো অপরাধীর পক্ষ নেয়নি - না অতীতে, না এখন, না ভবিষ্যতে নেবে। কোনো ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষার দায়ভার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কখনোই বহন করবে না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সব সময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, “যারা রাজপথে থাকে না, তারা নানা অপকৌশলে নিজেকে প্রমাণ করতে চায়। কিন্তু আমরা কোনো ধরনের অপকৌশলকে সমর্থন করি না। চকবাজারের সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের হতবাক করেছে। এটি আমাদের সকলের বিবেককে নাড়া দিয়েছে - ঠিক যেমন নাড়া দিয়েছিল খুলনার ঘটনা।

তিনি আরও বলেন, খুলনায় একজনকে গোপনে হত্যা করে তার রগ কাটা হয়েছিল। আমরা বুঝতে পারি, এই ধরনের কাজ পরাজিত কোনো ষড়যন্ত্রকারী শক্তিই করতে পারে। আমরা বলতে চাই- একটি মসজিদে যদি ইমামের খুতবা ভালো না লাগে, আপনি চাইলে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন, অন্য মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারেন। কিন্তু তাকে হত্যা করার অধিকার এই বাংলাদেশ কাউকে দেয়নি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কোনো অপরাধীর পক্ষে নয়, কোনো সন্ত্রাসীর পক্ষেও নয়। আমরা ন্যায়ের পক্ষে, মানবিকতার পক্ষে, গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে।”

বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা যুগ্ম আহবায়ক সুমন সরদার, মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, নাহিয়ান বিন হক অনিক, নাজরুল ইসলাম মামুন, রবিউল আউয়ালসহ অনান্য নেতা কর্মীরা।