শহীদ মিনারে শিক্ষকদের কর্মবিরতির তৃতীয় দিন, শাহবাগ অবরোধের প্রস্তুতি
বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির তৃতীয় দিন চলছে বুধবার (১৫ অক্টোবর)। আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রোক্টরিয়াল টিমের সদস্য ছুরিকাঘাতে আহত!
সরেজমিনে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ কানায় কানায় পূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষকে। হাতে জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন দাবিদাওয়া লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা স্লোগান দিচ্ছেন। কেউ কেউ আশপাশের সড়কের গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। এ সময় মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক শিক্ষক রাতেও সেখানে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রোক্টরিয়াল টিমের সদস্য ছুরিকাঘাতে আহত
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় শাহবাগ ব্লকেড পালিত হবে। সারাদেশের শিক্ষক–কর্মচারীরা দলে দলে যোগ দিন। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।’
এর আগে সোমবার শহীদ মিনার থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তারা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় আন্দোলনের পরিধি ধীরে ধীরে বিস্তৃত করা হচ্ছে।
শিক্ষকরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন চলছে। কিন্তু সরকার থেকে এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় তারা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
রাজধানীর শহীদ মিনারে এখনো শতাধিক শিক্ষক অবস্থান করছেন। তাদের অনেকেই জানিয়েছেন, ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেবেন না। সারাদেশের বিদ্যালয়গুলোতেও একই কর্মসূচি চলছে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না; বরং বিদ্যালয়ের আঙিনা বা শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
এর আগে গত রোববার প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর থেকেই শিক্ষকরা সারাদেশে পাঠদান বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে রয়েছেন।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন এবং শিক্ষা জাতীয়করণের রূপরেখা না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।





