ত্রিভূজ প্রেমের গল্প সাজিয়ে জুবায়েদের চরিত্র হরণের চেষ্টা করছে পুলিশ: অধ্যাপক রইস উদ্দিন

Sanchoy Biswas
আরাফাত চৌধুরী, জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:০৪ অপরাহ্ন, ২২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২:২৭ পূর্বাহ্ন, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ত্রিভুজ প্রেমের গল্প সাজিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন, এবং তারা ত্রিভুজ প্রেমের গল্প সাজিয়ে জুবায়েদের চরিত্র হরণের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইস উদ্দিন।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন: চাকসুর প্রতিনিধি আকাশ দাশের বুয়েট শিক্ষার্থীর ধর্ষণ কে সমর্থন করে পোস্ট: উত্তাল চবি

অধ্যাপক রইস উদ্দিন বলেন, "গতকাল পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে ত্রিভুজ প্রেমের গল্প সাজিয়ে আমাদের জুবায়েদের চরিত্র হরণের চেষ্টা করেছে। জুবায়েদ এমন ছেলে নয়। এভাবে তদন্তকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা চাই, প্রকৃত খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক, নিরপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পায়।"

পুলিশের উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, মামলার এজাহারে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা নেই কেন? বর্ষার পরিবারের আরও কারও সম্পৃক্ততা আছে কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি কেন? মামলায় যে এজাহার দায়ের করা হয়েছে, সেখানে ইন্ধনদাতা বর্ষার একটি মাত্র বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত। এটি প্রথম সূত্র হওয়ার কথা, কিন্তু কেন এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি?"

আরও পড়ুন: স্থগিত হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হবে ২৭ অক্টোবর

তিনি আরও বলেন, "মাত্র একবার ছুরিকাঘাতে জুবায়েদ নিহত হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মাহিরের মতো খাটো উচ্চতার কেউ কীভাবে জুবায়েদের উচ্চতার ছেলেকে এক ছুরিকাঘাতে হত্যা করতে পারে? নাকি প্রফেশনাল কিলার ভাড়া করা হয়েছিল?" এছাড়া, সিসিটিভি ফুটেজে কালো ও লাল টি-শার্ট পরিহিত দুইজনকে দেখা গেছে। তারা কি সেই দুইজন আসামি? যদি হয়, তাদের পোশাক জব্দ করা হয়েছে কি না, সেটিও প্রশ্ন।"

অধ্যাপক রইস উদ্দিন বলেন, "এগুলো শুধুই আমার প্রশ্ন নয়, হাজারো মানুষের মনে এসব প্রশ্ন জাগছে। আমরা আশা করি, পুলিশ দ্রুত এসব প্রশ্নের জবাব দেবে।"

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের জন্য তৈরি মঞ্চেই জুবায়েদের শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবং আগামী ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস জুবায়েদের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করে পালিত হবে।

তিনি বলেন, "পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনজন আসামিকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মাত্র তিন দিনের মাথায় মামলায় এমন অগ্রগতি প্রশংসনীয়। তবে আমরা চাই, যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ পার না পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা একজন আইনজীবী নিয়োগ দেব, যিনি জুবায়েদের মামলাটি তদারকি করবেন।"

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মঞ্জুর মোর্শেদ ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক, অর্থ পরিচালক, পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যানসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।