ইস্ট–ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারে অনন্যা

জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য

Sanchoy Biswas
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ন, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫৪ অপরাহ্ন, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত ঢাকা-১১ আসনের প্রার্থী, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. এম এ কাইয়ুমের জ্যেষ্ঠ কন্যা, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তনিমা তাসনিম অনন্যা বলেছেন, আধুনিক জ্যোতির্বিদদের রোমাঞ্চকর মহাজাগতিক অনুসন্ধান মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচন করেছে।

গত বৃহস্পতিবার ইস্ট–ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত বিভাগের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ‘আধুনিক জ্যোতির্বিদদের রোমাঞ্চকর মহাজাগতিক ঘটনাবলির অনুসন্ধান’ বিষয়ে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।

আরও পড়ুন: অবরোধের পাঁচ ঘণ্টা পর পুলিশের আলোচনার পরামর্শ, রাজি নয় শিক্ষার্থীরা

তনিমা তাসনিম অনন্যা বলেন, মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্তকরণ, কৃষ্ণগহ্বর ও মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ, ভিনগ্রহের সন্ধান, ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জির রহস্য ভেদ এবং বিগ ব্যাং তত্ত্বের গভীরে প্রবেশ—এই সবই চলছে আধুনিক টেলিস্কোপ ও মহাকাশযানের সাহায্যে। যা আমাদের মহাবিশ্বের গঠন, বিবর্তন ও চূড়ান্ত পরিণতি বোঝার এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

মহাকর্ষীয় তরঙ্গ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনস্টাইনের তত্ত্বের ১০০ বছর পর ব্ল্যাক হোল বা নিউট্রন তারার সংঘর্ষ থেকে সৃষ্ট এই তরঙ্গ শনাক্ত করা হয়েছে, যা মহাবিশ্বকে নতুনভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ


এক্সোপ্ল্যানেট বা ভিনগ্রহের সন্ধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেপলার ও অন্যান্য মিশনের মাধ্যমে হাজার হাজার ভিনগ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার মধ্যে কিছু গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনাও দেখা গেছে।

তিনি আরও জানান, মহাবিশ্ব যে দ্রুত গতিতে প্রসারিত হচ্ছে এবং এর পেছনের রহস্যময় ডার্ক এনার্জি কী—এটি নিয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে। এছাড়া কৃষ্ণগহ্বরগুলোর ছবি তোলা এবং তাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার অন্যতম বড় অর্জন।

বিগ ব্যাং-এর ‘প্রতিধ্বনি’ বা মহাজাগতিক মাইক্রোওয়েভ পটভূমি বিশ্লেষণ করে মহাবিশ্বের জন্ম ও বিবর্তন সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাচ্ছে। মহাবিশ্বের বিশাল ফাঁকা অঞ্চলগুলোও আবিষ্কৃত হয়েছে, যা মহাবিশ্বের গঠন বোঝার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করছে।

সেমিনারে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।