বছরের যেকোনো সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রকাশ করতে পারবে ইসি

ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রকাশে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখন থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাইলে বছরের যেকোনো সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও তা প্রকাশ করতে পারবে। এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করে গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে “ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে ৪৫ হাজার ৯৮ ভোটকেন্দ্র, দায়িত্বে থাকবেন ৯ লাখের বেশি কর্মকর্তা
এতে ২০০৯ সালের ‘ভোটার তালিকা আইন’-এর ধারা ৩-এর দফা (জ)-এ “জানুয়ারি মাসের পহেলা তারিখ”-এর পর যুক্ত হয়েছে “কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোনো তারিখ” শব্দ। এর ফলে এখন আর ২ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ বাধ্যতামূলক নয়। তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করতে পারবে ইসি।
সংশোধিত আইনে একটি নতুন উপ-ধারা (১) যুক্ত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে— প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত বা তফসিল ঘোষণার আগে ইসি চাইলে হালনাগাদ কার্যক্রম চালাতে পারবে। এতে নতুন ১৮ বছর পূর্ণ করা নাগরিকদের তালিকাভুক্তি, মৃত বা অযোগ্যদের নাম কর্তন, এবং ঠিকানা পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের সুযোগ থাকবে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে ‘না ভোট’ থাকছে: নির্বাচন কমিশনার
পূর্ববর্তী আইনে জানুয়ারির ১ তারিখে ১৮ বছর পূর্ণ না হলে ভোটার হওয়া যেত না। ফলে মাঝখানের একটি সময়সীমা বাদ পড়ত। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, ইসি চাইলে জানুয়ারির পরে যাদের বয়স ১৮ হবে, তাদেরও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
সংশোধিত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, এখন থেকে কেউ আবাসস্থল পরিবর্তন করলে তার ভোটার নাম পুরাতন এলাকা থেকে কেটে নতুন এলাকার তালিকায় স্থানান্তর করা যাবে। একইসঙ্গে বছরের যেকোনো সময় তালিকা থেকে মৃত ভোটারদের নাম কর্তন করারও সুযোগ পেল ইসি।
নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিবর্তনের ফলে ভোটার তালিকা আরও বাস্তবমুখী, সমসাময়িক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে। এতে তরুণ ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ যেমন বাড়বে, তেমনি নির্বাচন ব্যবস্থাও হবে আরও আধুনিক ও গ্রহণযোগ্য।