স্মৃতিশক্তি লোপের উচ্চ ঝুঁকিতে কোভিড থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ন, ২১ অগাস্ট ২০২২ | আপডেট: ৬:৩২ পূর্বাহ্ন, ২১ অগাস্ট ২০২২

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও কিছু সমস্যা থেকেই যায়। 

সম্প্রতি নতুন এক গবেষণা বলছে, কোভিড থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা অন্তত দুই বছরের জন্য মানসিক রোগ, স্মৃতিশক্তি লোপ বা একই ধরনের অবস্থার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। 

আরও পড়ুন: ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ট্রাম্প, জেলেনস্কির উপস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য

এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৫৭ কোটির বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছে। 

যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের অনেকেই মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দরজা থেকেও ফিরেছেন। অনেক দ্রুত নেগেটিভ হলেও দীর্ঘমেয়াদে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন। 

আরও পড়ুন: ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের অভিযানে অংশ নেওয়া পাইলটদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক দিলো পাকিস্তান

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও কিছু সমস্যা থেকেই যায়। 

সম্প্রতি নতুন এক গবেষণা বলছে, কোভিড থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা অন্তত দুই বছরের জন্য মানসিক ব্যাধি, স্মৃতিশক্তি লোপ বা একই ধরনের অবস্থার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের তুলনায় কোভিডের পর উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা দেখা যায়। তবে এক্ষেত্রে ঝুঁকি সাধারণত দুই মাসের মধ্যেই কমে যায়।

অপরদিকে ল্যানসেট বলেছে, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও প্রায় দুই বছর পর্যন্ত ব্রেন ফগ, মৃগীরোগ, খিঁচুনি এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী মানসিক ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। 

সাড়ে ১২ লাখের বেশি রোগীর রেকর্ডের ওপর ভিত্তি করে নতুন গবেষণা চালানো হয়েছে। প্রধান গবেষক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ পল হ্যারিসন বলেন, এই ফলাফল রোগীর ক্ষেত্রে এবং স্বাস্থ্য পরিসেবাগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

আরেক গবেষক ম্যাক্স ট্যাকুয়েট জানান, কোভিডের পর বিষণ্ণতার উচ্চ ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে স্বল্পস্থায়ী। পাশাপাশি বলা হয়, শিশুদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকির সম্ভাবনা কম। 

তবে স্মৃতিভ্রংশ বা খিঁচুনির মতো কিছু অন্যান্য অবস্থা করোনার পরেও প্রায়ই ঘটতে পারে এমনকি দুই বছর পর্যন্ত তা স্থায়ী হতে পারে। তবে গবেষকরা বলছেন, টিকা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনতে সক্ষম।