ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে কমেছে তেলের দাম

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ন, ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ৩:০৫ পূর্বাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী তেলের দাম কমেছে, যা আশা করা হয়েছিল তার বিপরীত। ইসরায়েলের উপর ইরানের হামলার পর বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু আশঙ্কা কেটে গেছে। বরং বিপরীত চিত্র দেখা গেছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে এশিয়ান ট্রেডে তেলের দাম সামান্য হলেও কমেছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। প্রতি ব্যারেল তেলের দাম এখনও ৯০ ডলারের কাছাকাছি হলেও, ইরান ইসরায়েলের উপর আক্রমণের হুমকি দেওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম নেতিবাচক প্রভাবিত হচ্ছিল।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা, হতে পারে ৩০ বছরের কারাদণ্ড

এদিকে গত সপ্তাহে তেলে দাম ছিল সর্বোচ্চ। যা গত ছয় মাসের মধ্যেও সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহের শেষের দিকে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছিল ৯২ দশমিক ১৮ ডলার পর্যন্ত। গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে হিসাব করলে তা ছিল সর্বোচ্চ। এরপর থেকে কমতে কমতে সেটা ৯০ দশমিক ৪৫ ডলারে নেমে আসে। সোমবার সকালে সেটা আরও ২০ থেকে ৩০ সেন্ট কমে যায়।

প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে থাকে ইরান। তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওপেকভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে দেশটির অবস্থান চতুর্থ এবং বিশ্বের মধ্যে সপ্তম।

আরও পড়ুন: ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ট্রাম্প, জেলেনস্কির উপস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য

ইসরায়েলে হামলার পর থেকে একটা পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় রয়েছে ইরান। ইসরায়েলের ওই আঘাত ইরানের তেলক্ষেত্রের ওপরও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব বিবেচনায় তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ইরানের সাতজন সামরিক কর্মকর্তা।

সেই হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে আইআরজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আর ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে,হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।