ইরান শান্তিপূর্ণ হলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

ইরান যদি শান্তিপূর্ণ আচরণ করে এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে, তাহলে দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে। রোববার (২৯ জুন) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন,
“যদি তারা (ইরান) শান্তিপূর্ণভাবে থাকে, আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়, আর কোনো ক্ষতি না করে— তাহলে আমি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারি।”
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে রায় আন্তর্জাতিক আদালতের, স্বাগত জানাল পাকিস্তান
তিনি আরও যোগ করেন, “লক্ষ্য অর্জনে কঠোর বা নেতিবাচক হওয়ার চেয়ে সদয় এবং শান্তিপূর্ণ হওয়া বেশি কার্যকর। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইরানের জন্য অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে।”
সম্প্রতি মার্কিন ও ইসরায়েলি বাহিনীর যৌথ হামলার আগে ইরান ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে— এমন দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। তার ভাষায়,
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৬৯ জন নিহত, মোট প্রাণহানি ৬০ হাজার ছাড়াল
“ইউরেনিয়াম একটি ভারী ও বিপজ্জনক পদার্থ। এটা অল্প সময়ের মধ্যে সরানো সম্ভব নয়। আর আমরা খুব একটা আগাম সতর্কবার্তা দিইনি। সুতরাং তারা কিছু সরিয়ে নিতে পারেনি। আসলে তারা ভাবতেও পারেনি আমরা এটা করে ফেলব।”
ট্রাম্প দাবি করেন, সাম্প্রতিক হামলাগুলো ইরানকে ‘ক্লান্ত’ ও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তার মতে, “আগামী কিছু সময়ের জন্য, তারা পরমাণু নিয়ে আর কিছু করবে না। তাদের অবস্থাটা এমন যে— তারা আর পারছে না।”
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির হুঁশিয়ারির কারণে ট্রাম্প **নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন**, যেখানে খামেনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আবার হামলা চালায়, তবে তাদের ঘাঁটিগুলো টার্গেট করা হবে।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা আব্রাহাম চুক্তি নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন,
“আমাদের সঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশ রয়েছে ইতোমধ্যেই। এখন আমরা আরও কয়েকটি দেশ এতে যোগ দিতে দেখবো। কারণ, ইরানই ছিল এই পুরো অঞ্চলের মূল সমস্যা।”
যদিও ট্রাম্প কোনও দেশের নাম উল্লেখ করেননি, তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আরব বিশ্বের আরও কয়েকটি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগোচ্ছে।