ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়, শান্তিতে নোবেল পেলেন মারিয়া কোরিনা

Any Akter
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ন, ১০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৪৫ অপরাহ্ন, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও নাগরিক অধিকারের সংগ্রামে অনন্য ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি জানিয়েছে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য তাঁর নিরলস লড়াইই তাঁকে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী শান্তির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বাংলাদেশ সময় আজ শুক্রবার নরওয়ের অসলোতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি জানিয়েছে, স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের সংগ্রাম করেছেন মারিয়া।

আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে আছে ইরান: আইআরজিসি

দ্য নোবেল প্রাইজ ডটঅর্গের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্রের আন্দোলনের নেত্রী হিসেবে মারিয়া কোরিনা অনন্য সাহসের উদাহরণ। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে রাজনৈতিক বিরোধীতার মধ্যে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ঐক্যের প্রতীক ছিলেন।

এর আগে বছরের শুরু থেকেই শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, সাতটি যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকা রেখেছেন। তাঁকে পুরস্কৃত করার জন্য মনোনয়ন দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন ইসরায়েল ও পাকিস্তানের সরকারপ্রধান। সুইডেন এমনকি নরওয়ের রাজনীতিবিদ ও আইনপ্রণেতারাও ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে এখনই বিশ্বকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

গত বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছিল জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকিও। জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের তৃণমূল আন্দোলন হিদানকিওকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টা এবং পারমাণবিক অস্ত্র  যে আর কখনো ব্যবহার করা উচিত নয়, তা প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের মাধ্যমে প্রদর্শনের জন্য  নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।