ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো

ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন দেশটির বিরোধী রাজনীতিক মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নোবেল কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করে।
পুরস্কার পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার)–এ এক বার্তায় মাচাদো বলেন, আমি এই পুরস্কারটি উৎসর্গ করছি ভেনেজুয়েলার যন্ত্রণাক্লিষ্ট জনগণের উদ্দেশে, যারা স্বাধীনতা ও ন্যায়ের জন্য লড়াই করছেন। একই সঙ্গে উৎসর্গ করছি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে, যিনি আমাদের আন্দোলনে দৃঢ়ভাবে পাশে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন ট্রাম্প
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে শক্তিশালী করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নেয়। মাদুরোর বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর গ্রেফতারের দাবি তোলে এবং তথ্যদাতাকে ৫০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেনেজুয়েলার নৌযানের ওপর অভিযান চালিয়ে সেগুলোকে ‘মাদকপাচারকারী সন্ত্রাসী নৌযান’ হিসেবে ঘোষণা করে ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন: গাজায় প্রথম দফায় মুক্তি পেলেন যারা
তবে এসব অভিযোগ মাদুরো সরকার ‘রাজনৈতিক আগ্রাসন’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
মাচাদোর নোবেল জয়কে কেন্দ্র করে ভেনেজুয়েলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলগুলো একে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ হিসেবে দেখছে, অন্যদিকে মাদুরোপন্থি নেতারা এটিকে ‘বিদেশি প্রভাবিত রাজনীতি’ বলে সমালোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য, মারিয়া কোরিনা মাচাদো দীর্ঘদিন ধরে মাদুরো সরকারের বিরোধিতা করে আসছেন। তাঁকে একাধিকবার গৃহবন্দি ও রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হলেও তিনি এখনো দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।