মুসলিম নারীদের নামাজ আদায়, গোমূত্র দিয়ে শুদ্ধিকরণ করেন বিজেপির এমপি

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ন, ২১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৩:৩১ পূর্বাহ্ন, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মহারাষ্ট্রের পুনেতে ঐতিহাসিক শানিওয়ারওয়াড়া দুর্গে মুসলিম নারীদের নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে বড় ধরনের রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার বিজেপি সাংসদ মেধা কুলকর্ণির নেতৃত্বে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন সেখানে গিয়ে ‘গোমূত্র দিয়ে শুদ্ধিকরণ’ অনুষ্ঠান করেন এবং ‘শিব বন্দনা’ সম্পন্ন করেন।

মেধা কুলকর্ণি বলেন, মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতীক। এখানে নামাজ পড়া দুঃখজনক এবং পুনেকারদের জন্য অপমানজনক। তিনি প্রশাসনের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে আছে ইরান: আইআরজিসি

তিনি অভিযোগ করেন, এসব জায়গায় নামাজ পড়ে পরে ‘ওয়াকফ সম্পত্তি’ দাবি করা হয়। আমরা সতর্ক আছি।

এ ঘটনার সমর্থনে রাজ্যের মন্ত্রী নিতেশ রানেও বলেন, শেিনায়ারওয়াড়া হিন্দুদের গৌরবের প্রতীক। যদি হিন্দুরা হাজি আলিতে হনুমান চালিসা পড়ে, মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত লাগবে না?

আরও পড়ুন: ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে এখনই বিশ্বকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

অন্যদিকে এনসিপি নেতা রূপালি পাটিল ঠোম্বরে জানান, বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে মামলা করা উচিত। তিনি বলেন, পুনেতে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি নষ্ট করাই আসল উদ্দেশ্য।

এআইএমআইএম মুখপাত্র ওয়ারিস পাঠান বলেন, ৩-৪ জন মুসলিম নারী দুই-তিন মিনিট নামাজ পড়লেন—এতে কার কী ক্ষতি হলো? সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদ ধর্মাচরণের স্বাধীনতা দেয়। তিনি আরও বলেন, আপনারা মন-মানসিকতা শুদ্ধ করুন, গোমূত্রে মাটি নয়।

এএসআই কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে নামাজ পড়া অজ্ঞাতপরিচয় মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ দুর্গ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি এএসআই সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ। নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।