গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে একই পরিবারের ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার
ফিলিস্তিনের গাজা সিটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির নিচ থেকে একই পরিবারের ৩০ জন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, নিহতরা সালেম পরিবারের সদস্য। ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর গাজা সিটির আল-রিমাল এলাকায় ওই পরিবারের বসতবাড়িতে চালানো ইসরাইলি বিমান হামলায় তারা প্রাণ হারান। দীর্ঘ সময় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকার পর সম্প্রতি উদ্ধার অভিযান চালিয়ে এসব মরদেহ বের করা হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি পাসপোর্টধারীসহ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
সিভিল ডিফেন্সের ধারণা, ওই হামলায় সালেম পরিবারের অন্তত ৬০ জন সদস্য নিহত হয়ে থাকতে পারেন। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজাজুড়ে ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর নিচে চাপা পড়া ফিলিস্তিনিদের উদ্ধারে যে সংগঠিত উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে, সালেম পরিবারের বাড়িটি ছিল সেই অভিযানের প্রথম লক্ষ্যবস্তু।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সামুদ্রিক ড্রোন হামলায় রাশিয়ার সাবমেরিন ক্ষতিগ্রস্ত
সংস্থাটি আরও জানায়, উদ্ধারকাজ পরিচালনায় তাদের হাতে অত্যন্ত সীমিত সরঞ্জাম রয়েছে। একটি মাত্র এক্সকাভেটরসহ মৌলিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মরদেহ উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, বর্তমানে গাজা উপত্যকার অর্ধেকের বেশি এলাকা ইসরাইলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার পরও বিভিন্ন এলাকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত গাজায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বড় একটি অংশ নারী ও শিশু। একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৭১ হাজার মানুষ।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরও একাধিকবার তা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এরপরও সহিংসতা থামেনি।





